একজন সেলিব্রিটি মানুষের অনেক সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাইলেই সবকিছু শেয়ার করতে পারেন না। কারণ তার পোস্ট দেখে প্রভাবিত হয় বহু মানুষ। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা যে পোস্ট করতে পারি সেটা একজন তারকা কখনোই করতে পারেন না।অনেক সময় সেলিব্রিটিরা এমন কিছু পোস্ট শেয়ার করে ফেলেন যাচাই না করে যাতে পরবর্তীকালে তাদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।
যেমনটা গতকাল ঘটেছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি বরাবর সরব থাকেন।কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন কিন্তু তিনি যে বামপন্থী মনোভাবাপন্ন সেটা সকলেই জানেন। গত সপ্তাহে আমরা দেখেছি একজন উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া যে ইংলিশে ফেল করেছে এবং ইংলিশে পাশ করানোর দাবিতে আরো অনেকের সঙ্গে পথের ওপর বসেছে অবরোধ করতে তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় আমব্রেলা বানান উচ্চারণ করে আমরেলা। তারপরে মেয়েটিকে নিয়ে মিমের বন্যা বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গতকাল শ্রীলেখা মিত্র একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করেন যে যে মেয়েটি আমরেলা বলেছিল সে ট্রোলিংয়ের চাপ সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড করেছে। তাই সকলের লজ্জা হওয়া উচিত।
কিন্তু এরপরে দেখা যায় ওই ছাত্রীটি সুইসাইড করেননি বরং অন্য এক ছাত্রী সুইসাইড করেছেন।এরপরেই শ্রীলেখা মিত্রের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই তাঁকে বলেন যে একজন পাবলিক ফিগার হয়ে খবর যাচাই না করেই কী করে তিনি পোস্ট শেয়ার করেন? তবে তিনি বলেন যে তিনি একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে খবর যাচাই করে পোস্ট দিয়েছিলেন। তবে আসল কথা হলো তিনি বুঝতে ভুল করেছিলেন।
যদিও এরপর শ্রীলেখা মিত্র সেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন এবং অন্য একটি সংবাদ মাধ্যমের পোস্টের লিংক শেয়ার করেন যেখানে আসল খবরটা লেখা রয়েছে।তাকে সকলেই উপস্থিত দিয়েছে যে এভাবে যাচাই না করে অর্ধেক কথা শুনে শ্রীলেখা মিত্র যেন কোন পোস্ট না দেন সোশ্যাল মিডিয়ায় কারণ তার লক্ষাধিক ভক্ত রয়েছে তাই গুজব ছড়াতে বেশি সময় লাগবে না।