ধরুন দোকান থেকে আপনি একটি গয়না কিনেছেন। বাড়ি এনে আর সেটা ভালো লাগছে না। এবার আপনি অন্য একটি কিনে আনলেন। কিন্তু সবার মতামত নেওয়ার পর মনে হচ্ছে আগেরটাই ভালো ছিল। তাই আবার সেটাই কিনতে গেলেন। এখানেও এক অবস্থা। দ্বিধাগ্রস্ত এক রূপান্তরকামীও এমন একটি ধর্ম সংকটে পড়ছেন। তফাৎ এটুকুই যে কোনো জিনিস নয়, তিনি নিজের শরীরকেই বারবার বদলাতে চাইছেন। রূপান্তরের কামনা মিটেও মিটছে না যেনো তাঁর।
মিশিগানের ডেট্রয়েটের বাসিন্দা ইশা ইসমাইল নারী হয়েই জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নিজের নারীত্ব তাঁর আর ভালো লাগেনি। তাই শরীর বদলে পুরুষ হন তিনি। ১৯ বছর বয়সেই তিনি শুরু করেন নিজেকে বদলানোর এই প্রক্রিয়া। অস্ত্রোপচার করে স্তন বাদ দেন তিনি। আসলে নিজেকে পুরুষ হিসেবে দেখাতে তিনি কোনো ত্রুটি রাখতেই চাননি। হরমোনের চিকিৎসাও চলতে থাকে শরীরে। টেস্টোস্টেরন হরমোন নিয়মিত ভাবে নিতেন তিনি। ১১ মাসের মধ্যেই তাঁর শরীরে পুরুষ হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। সেই মুহূর্তগুলো বেশ উপভোগ করেছেন ইশা। টানা ছ’বছর পর একেবারে পুরুষ হয়ে ওঠেন তিনি।
কিন্তু এরই মাঝে আসে তাঁর মনে পরিবর্তন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর আচমকাই মনে হয়, তিনি পুরুষ হয়ে জীবনযাপন করবেন না। নারী হবেন আবার। হরমোন নেওয়া বন্ধ করে দেন। আপাতত আবার নারী হওয়ার পর্যায়ে আছেন তিনি। হরমোনের চিকিৎসা বন্ধ করার কয়েক মাসের মধ্যেই নারীত্ব অনুভবও করতে পারছেন বলে জানান ইশা।