ঝিলিক ও আঁখি নাকি একে অপরের বোন! অবশেষে, দুই বোন জেনে গেল সত্যিটা। স্টার জলসার (Star Jalsh) ‘দুই শালিক’ সিরিয়ালে (Serial) চলছে রুদ্ধশ্বাস পর্ব। আজকের এপিসোডে গল্পের শুরুতে দেখা যাচ্ছে, প্রিয়রঞ্জনকে পুলিশ এরেস্ট করতে এসেছে। এই সময়ে নীলিমা পুলিশকে বলে, ‘আপনারা ওকে এরেস্ট করে নিয়ে যান’। নীলিমার মন খারাপ হয়ে যায়। এই সময়ের জেঠুমনি বলে ওঠে, ‘মন খারাপ করিস না। যে অন্যায় করে সে তো শাস্তি পাবেই বল। তুই কিভাবেই বা আটকাবি?’
এই সময় নীলিমা জেঠুমনিকে বলে, ‘ভালোই তো হয়েছে ও যা অন্যায় করেছিল তারা শাস্তি পাওয়াটা খুব জরুরী ছিল’। গৌরব বস্তিতে যেতে চায় নীলিমা তাকে আটকে দেয় এবং বলে ‘এখন বস্তিতে গিয়ে কি করবি?’ হোলির জন্য আরোই বস্তিতে যেতে চায় গৌরব। অন্যদিকে, দেবার কথাটা নীলিমাকে বলতে পারছে না গৌরব। কারণ মনে মনে গৌরব জানিয়ে দেবার কথাটা জানতে পারলে, তার মা আরো বড় আঘাত পাবে।
এখন আর এই কথাটা বলা যাবে না কারণ অলরেডি তার বাবাকে এরেস্ট করে নিয়ে গেছে, এই কথাটাই মনে মনে ভাবতে থাকে গৌরব। এদিকে, আঁখি ও দেবা নিতে উঠেছে রং খেলায়। এত আনন্দের মাঝে যে লিখতে বকে ফোন করে বলছে, ‘আমরা এখানে কি করব? আমরা কি তাহলে চলে যাব’। এই শুনে দেবা বলে, ‘দেখ পিআরকে তো অ্যারেস্ট হয়েছে, তোরা এখানে চলে আয়’। দেবার কথা ঝিলিকের কাছ থেকে শুনে গৌরবও সহমত হয়। সবাই সত্যিটা যেন অসুবিধেই বা কি আছে, বলে গৌরব।
এরপর সবাই নাচ গান করছে আর তার মধ্যে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আঁখি এবং ঝিলিক। এই দেখি সবাই ভাবে যে দুটো ঝিলিক একই সঙ্গে দাঁড়িয়ে কি করছে? এরপর ঝিলিক ও দেবা মিলে সবার কাছে সবটা পরিষ্কার করে দেয় এবং কে কার স্ত্রী ও কে কার স্বামী সেটাও বলে দেয়। এই সময় পুষ্প বলে ‘আমি সবটাই আগে থেকে জানতাম’। এও বলে যে, দেবা কোনো মিথ্যা কথা বলছে না। সমতার মা বলে, দেবা এখন ছাতা বাড়ির ছেলে এবং আঁখি এখন সেই বাড়ির বউ। এই সব কিছুর মাঝে ঝিলিক মনে মনে ভাবতে থাকে যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ গুরুতর আহত! পা ফুলে ঢোল! তিরন্দাজি ছাড়তে হলো ‘রাঙামতি’ মনীষাকে? তবে কি এবার দেখা মিলবে নতুন নায়িকার?
সমতার বাবা মাখনবাবু ভাবে, ‘অনিমেশ বাবু সিল্কের ব্যাপারে জানতে চাইছিল কেন?’ এই সময় ক্ষমতার বাবা অনিমেষকে ফোন করে বলে ‘আপনি এক্ষুনি একবার বস্তিতে আসতে পারবেন?’ অন্যদিকে আবার আরো বেশি মজা করার জন্য ঝিলিক তার মায়ের ব্যাগ থেকে টাকা বের করতে যাওয়ার সময় একটা লোকের দেখতে পায় ঠিক যেমন আখির গলায় থাকে।
এরপরে ছিলি চেনে লাগানো লকেটটা দেখে অনেক কিছু বুঝতেও পারে এবং সমস্ত সত্যি জানতে পেরে যায়। দোল খেলার জায়গায় আবার ফিরে এসে ঝিলিক আঁখিকে বলে, ‘তোর সঙ্গে কিছু দরকারি কথা আছে’। ঝিলিক আঁখির গলার চেন এবং লকেটের সঙ্গে তাঁর হাতে থাকা চেন-লকেট মিলিয়ে দেখাতে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে যায়। আজকের এপিসোডে জানতে পারা যাবে আঁখি ও ঝিলিক একে অপরের বোন।