“উত্তম কুমার খুব ভালো সময়ে চলে গেছে, ভগবানের অশেষ কৃপা তিনি খারাপ সময় দেখেননি…” হঠাৎ কেন মহানায়ককে নিয়ে এই বি’তর্কিত মন্তব্য করলেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী! অভিনয় জীবনে অতীতের কোন ঘটনার সামনে আনলেন অভিনেতা?

বাংলা চলচ্চিত্র ও ছোটপর্দায় দর্শকদের হৃদয় জয় করেছেন বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী। ছোট থেকে বড় পর্দায় তাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে। কখনও নায়ক-নায়িকার বাবা, কখনও দাদুর চরিত্রে। কিন্তু সম্প্রতি অভিনেতা নিজে তার অভিনয় জীবনের নানান অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন, যা তার ভক্তদের কাছে নতুন আলো উন্মোচন করেছে।

আলোচনার শুরুতেই তিনি জানান, “আগেকার দিনে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলে তেমন সম্মান পাওয়া যেত না। সোশ্যাল মিডিয়ার অভাব ছিল, প্রচারের সুযোগও ছিল কম। তাই অনেক ভালো অভিনয়ও ঠিকমতো দর্শকের কাছে পৌঁছাত না।” এরপরে তিনি বলেন, “আজকাল পার্শ্ব চরিত্রও সমানভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দর্শক সহজেই অভিনয় মূল্যায়ন করতে পারছে। তাই এখন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলেও নিজের পরিচয় তৈরি করা সম্ভব।”

অভিনেতা জানান, তিনি মিঠাই ধারাবাহিকের দাদাই চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এর আগে মিঠুন চক্রবর্তীর বাবার চরিত্রও তিনি পুরোপুরি ফুটিয়ে তুলেছেন। এছাড়াও জিৎ এবং দেব কোয়েলের বাবার চরিত্রে, এবং ‘সন্তান’ ছবিতে মিঠুনের বন্ধুর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন। তিনি বলেন, “এগুলোই আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি। বিভিন্ন চরিত্রে দর্শকের সামনে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতে পারা একজন অভিনেতার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।”

অভিনেতার পছন্দের মানুষ উত্তম কুমারের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “উত্তম কুমার খুব ভালো সময়ে চলে গেছেন। হয়তো বলা যায় না, তবে তিনি অনেক খারাপ ছবিও পেতে পারতেন। ভগবানের অনেক কৃপা যে তিনি সেই সময়টা দেখেননি।” তার এই মন্তব্যে ভক্তরা অনুভব করছেন এক মজবুত অভিনয় জগতের নৈরাশ্য ও সৌভাগ্যের গল্প।

আরও পড়ুনঃ “গণেশকে দেখলে মায়া হয়! এত বিদ্যা, এত বুদ্ধি, তবু বেচারা বডি শেমিং-এর শিকার!”—দাবি সুদীপা চ্যাটার্জির! গণপতির মতো তার জীবনেও নাকি রয়েছে এমন দুজন ব্যক্তি, কারা সেই দুই বিশেষ ব্যক্তি? 

 

শেষে বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী জানান, অভিনয় তার জীবনের মূল অনুষঙ্গ। পার্শ্ব চরিত্র হোক বা বড় চরিত্র, প্রতিটি সুযোগকে তিনি ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেছেন। দর্শকরা এখন তার অভিনয়কে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং এই বর্ষীয়ান অভিনেতার কাজের প্রতি ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছে।