বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন অভিনেতা কামু মুখোপাধ্যায় (Kamu Mukherjee)। যাকে অন্যভাবে বললে তিনি মন্দার বোস। ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে ঋনাত্মক চরিত্র মন্দার বোস আজও সকলের মনে স্থায়ী ছবি এঁকে রেখেছেন। সেই অভিনেতা কামু মুখার্জী তাঁর শেষ জীবনে কেমন ছিলেন? অভিনেতার জার্নি চোখে জল আনবে আপনারও।
চলচ্চিত্র জগতের সুবর্ণ অতিথি শিল্পী ছিলেন তিনি!
বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এমন অনেক শিল্পী ছিলেন যারা নিজেদের সম্পূর্ণরূপে উজাড় করে দিলেও কোথাও গিয়ে যেন অবহেলিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই একজন অভিনেতা কামু মুখোপাধ্যায়। তাঁকে চিনে নিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়। আসলে কথায় আছে জহুরি রতন চেনে। তাই সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে রতন হয়েই ধরা দিয়েছিলেন কামু।
তবে বেশিরভাগ ছবিতেই অতিথি শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। তার মাঝে সোনার কেল্লা ছবিতে তার অভিনয় বিশেষভাবে দাগ কাটে। এছাড়াও, আব্দুল্লা নামক একটি নেগেটিভ চরিত্রে কামু মুখার্জির অভিনয় প্রশংসিত হয়। একাধিক ছবিতে অল্প সময়ের জন্য হলেও পর্দায় ধরা দিয়েছিলেন তিনি। বহু ঋণাত্মক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অল্প সময়ের জন্যেও নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পঙ্গু ছিলেন কামু মুখার্জী!
তবে মনে মনে হয়ত সন্তুষ্টি পেতেন না অভিনেতা। তিনি অভিনেতা হিসেবে নিজেকে আরও মেলে ধরতে চেয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায়কে বলেছিলেন কেন স্বল্প সময়ের জন্য তাঁকে স্ক্রিন দেওয়া হয়? তখন উত্তরে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন স্বল্প সময়ের জন্য হলেও নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করাই একজন অভিনেতার আসল পরিচয়। সত্যজিৎ রায়, সন্দীপ রায়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “আমার কারোর সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, আমি এটাও বলতে পারব না আমি স্টার কিড” স্পষ্ট কথা শনের
তবে শেষ জীবনে বেশ কষ্ট পেয়েছেন অভিনেতা কামু মুখোপাধ্যায়। টানা দশ বছর ধরে শায়িত ছিলেন বিছানায়। বাহাত্তর বছর বয়সে নিজের বাসভবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে তিনি আজও সকলের মনে অমর হয়ে আছেন।