তিনি টলিউডের, বাংলা সিনেমার সম্পদ। অনেক ছোট বয়স থেকে সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। সাফল্য ছুঁলেও অহঙ্কার তাঁকে কদাপি ছোঁয়েনি। এখনও পর্যন্ত টলিউডের নামী নামী পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন তিনি। হ্যাঁ, কথা বলছি জনপ্রিয় অভিনেতা ঋতব্রত মুখার্জির (Rwitobroto Mukherjee)। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে অকপট হয়েছিলেন অভিনেতা।
সম্প্রতি মুক্তি পাবে পরিচালক রাজর্ষি দের সিনেমা ‘সাদা রঙের পৃথিবী’ । এই ছবিতে অভিনয় করছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও রয়েছেন অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, সৌরসেনী মৈত্র, অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা কুমার। ঋতব্রত জানিয়েছেন, এই ছবিতে অন্যতম মূল ছেলে চরিত্রে রয়েছেন তিনি। অভিনেতা জানিয়েছেন, এই ছবিতে চরিত্রটা তাঁকে মাথায় রেখেই লেখা। আর তা অভিনয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি উত্তেজনা জোগায়।
বলিউড থেকে টলিউড সব জায়গাতেই এই অল্প বয়সেই অভিনয় করে ফেলেছেন ঋতব্রত। অনেক ছোট থেকে কাজ করলেও কখনও সাফল্যকে মাথায় চড়ে বসতে দেননি তিনি। অভিনেতা জানিয়েছেন, গাড়ি তাঁর ভীষণ প্রিয়। আর তাই সম্প্রতি একটি গাড়ি কিনে নিজের সেই বহুদিনের স্বপ্নকে পূরণ করেছেন তিনি। আসলে তাঁর কথায় তারকা হতে গেলে আলাদা করে কী ইমেজ তৈরি করতে হয় তা তাঁর জানা নেই। আর যাঁদের সঙ্গে তিনি মেশেন তাঁরাও তেমন নয়।
ঋতব্রত অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়ের সুপুত্র। আর তাই তিনি অকপটে বলেন বাবা জনপ্রিয় হওয়ায় কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন তিনি। আসলে সবাই বিশেষভাবে নজর করেছেন তাঁকে। সেইসঙ্গে বাবার থেকে পেয়েছেন শিক্ষা । আসলে ইন্ডাস্ট্রির সবাই বিশেষ চোখে চোখে রাখে ঋতব্রতকে।
ভালো অভিনেতা তিনি সবাই জানে। কিন্তু নায়ক হওয়ার লোভ হয়না? অভিনেতার উত্তর, আসলে আমাকে নায়ক হিসেবে কেউ ভাববে বলে মনে হয়না। সেইরকম নায়ক সুলভ চেহারা আমার নয়। তাঁর কথায় নায়ক হতে গেলে আলাদা রূপ, চেহারা, গলার আওয়াজ থাকতে হয়। যা আমার নেই। আর তাই আমি অভিনেতা হয়েই থাকতে চাই। আসলে তাঁর অভিনয়েই মজে বাঙালি।