বাংলা চলচিত্র জগতের এক বিখ্যাত ও পরিচিত মুখ হলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী (Sabyasachi Chakraborty)। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির দ্বিতীয় ‘ফেলুদা’ (Feluda) হলেন এই অভিনেতা। দ্বিতীয় বললাম কারণ, কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায় (Soumitra Chakraborty) হলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ফেলুদা চরিত্রের মুখ। পরবর্তীকালে, বাংলার দ্বিতীয় ‘ফেলুদা’ হয়ে ওঠেন অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী।
তাঁর মতো মানুষ প্রায় হয় না বললেই চলে। শুধুমাত্র প্রিয়জনেরা নন, ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সকলেই এই বাক্যে স্বীকার করে নেন এক কথায়। অমায়িক, দয়ালু ও স্পষ্টবাদীর মতো কিছু শব্দ দিয়েই বিশ্লেষণ করা যায় তাঁকে। অভিনয়ের পাশাপাশি ওয়াইল্ড লাইফেও বিশাল আগ্রহ আছে তাঁর। অভিনেতার স্ত্রী হলেন একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী।
আরো পড়ুন: ললিতার কথা শুনে স্মৃতি ফিরল সন্ধ্যার! ভয়ে কাঁটা আকাশ ও মাঠান! দারুণ উত্তেজনা সন্ধ্যাতারায়
একটি সাক্ষাৎকারে মিঠু হাসির ছলে বলেন, তিনি ছোটবেলায় সব্যসাচীকে মামা ডাকতেন এবং অনেক ছোটবেলা থেকেই নাকি তাঁদের আলাপ। কিন্তু তাঁদের বিয়েটা হয়েছিল দেখেশুনে। পরিবারের কথায় রাজী হয়েই বিয়ে করেছিলেন দুজনে।
অভিনেত্রী মিঠু চক্রবর্তী ছিলেন আর্মি পরিবারের মেয়ে। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ফাইটর পাইলট। অনেক রক্ষণশীলতার মধ্যে বড় হয়েছিলেন তিনি। সব্যসাচীরা ছিলেন তাঁদের পরিবারের দূরবর্তী আত্মীয়। মিঠু চক্রবর্তীর মায়ের অনেক দূর সম্পর্কের ভাই ছিলেন সব্যসাচী। সেই সম্পর্কের সূত্রেই সব্যসাচীকে ছোটবেলায় ‘মামা’ বলে ডাকতেন মিঠু।
বর্তমানে, সাজানো গোছানো একটি সংসার সব্যসাচী-মিঠুর। তাঁদের দুই পুত্র গৌরব এবং অর্জুনও এখন বাংলা চলচিত্র জগতের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। তাঁদেরও বিয়ে হয়েছে এবং তাঁরাও নিজ-নিজ সংসারে ও ক্যারিয়ারে যথেষ্ট ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। কিছুদিন আগে দাদু-ঠাকুমাও হয়েছেন সব্য ও মিঠু।