মৃত্যুর পরেও কি কোনও সম্পর্ক থেকে যায়? প্রিয়জনেরা কি অদৃশ্য কোনও অস্তিত্বে আমাদের পাশেই থাকেন সারাজীবন? এমনই গভীর ভাবনার জগতে পা রাখতে চলেছে নতুন ছবি ‘চন্দ্রবিন্দু’ (Chandrabindoo)। মৃত্যুর পরেও যাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয় না, সেই ধারণাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে এই গল্প। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বাস্তব জীবনের জুটি ‘অঙ্কুশ হাজরা’ (Ankush Hazra) আর ‘ঐন্দ্রিলা সেন’ (Oindrila Sen) । প্রযোজনায় এস কে মুভিজ। এই রহস্য আর আবেগে মোড়া ছবি মুক্তি পাচ্ছে আসন্ন শুক্রবার, ২৩ মে বড় পর্দায়।
এদিন এই ছবির প্রচারে এক সংবাদমাধ্যমের সাথে আলোচনায় উঠে আসে ঐন্দ্রিলার জীবনের কিছু অজানা তথ্য দুজনের আর সম্পর্কের ভবিষ্যত। যেহেতু ‘চন্দ্রবিন্দু’ ছবিটির মূল বক্তব্যই হলো যে ‘জন্ম মৃত্যুর মাঝখানের এক অজানা গল্প’— অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলাকে জানতে চাওয়া হয় যে এমন কিছু কি সে অনুভব করেছে বাবার মৃত্যুর পর? অভিনেত্রী বলে, বাবাকে ঘিরেই তাঁর জীবন ছিল। বাবার মৃত্যুতে এতোটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে শ্মশানে বসে মায়ের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, বাবার কাজ মিটে গেলেই আ’ত্ম’হ’ত্যা করব।”
অঙ্কুশের ভালোবাসাই সেই অবসাদ থেকে ঐন্দ্রিলাকে বের করে এনেছে। তবে এখনও ঐন্দ্রিলা বিশ্বাস করে তাঁর বাবা আশেপাশেই রয়েছেন। বর্তমানে একসাথেই থাকেন অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা, বিয়ে নিয়ে আপাতত তাঁদের কোনও পরিকল্পনা নেই। পরিবারের তরফ থেকেও তেমন কোনও তাড়া নেই বলেই জানিয়েছেন দুজনে। একদিকে অভিনেতা, সঞ্চালক, এবং বিচারক হওয়ার পাশাপাশি অঙ্কুশের রয়েছে একটি প্রযোজনা সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে অঙ্কুশের জানতে চাওয়া হয় বর্তমানে বেশিরভাগ ছবিতেই দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, নিজের প্রযোজনে ছবি করলেও কি একসঙ্গেই করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ঐন্দ্রিলা বলে তিনি কখনোই অঙ্কুশকে জোর করেননি একমাত্র তার সঙ্গেই ছবি করতে, বরং আজকাল তাদের কাছে নতুন ছবির প্রস্তাব এলেই সেখানে দুজনের জন্যই আসে। অঙ্কুশ এ বিষয়ে বলেন,”অনেকেই মনে করেন আমায় না নিলে ঐন্দ্রিলাকে অভিনয় করতে দেব না আমি, আবার উল্টোটাও অনেকে মনে করেন।”
অঙ্কুশ বলে, এমনটা কিন্তু সত্যি নয়। যখনই কোনও ছবির প্রস্তাব আসে চরিত্র শুনেই বোঝা যায় একজনের জন্যই এসেছিল কিন্তু না করে দেওয়ার ভয়ে দু’জনকেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঐন্দ্রিলা বলে, যেমন চরিত্র তার পছন্দ বাইরে থেকে তেমন প্রস্তাব পান না। আর তাছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে অঙ্কুশের পরে তেমন কোনও প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা নেই যার সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারেন তিনি। এমনকি অঙ্কুশ এর জন্য নতুন অভিনেত্রীর খোঁজ চালায় ঐন্দ্রিলা নিয়মিত।
আরও পড়ুনঃ “পুরুষরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে এমনটাই হয়”— বিচ্ছেদের পর আবারও কাছাকাছি তিয়াসা-সোহেল! ‘যারা বাড়াবাড়ি করেন না, তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নন?’ সোহেলকে নিয়ে তিয়াসার প্রেম দেখে কটাক্ষ নেটপাড়ার!
ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা নিয়ে অঙ্কুশ বলে,”একটা বড় বাজেটের ছবি করলেই অনেক দিন বসে থাকতে হয় আমায়, অনেকে হয়তো ভাবে আমি বেশি টাকা চাইবো। এর কারণ টলিউডের ধারাবাহিকতার অভাব, একশোটা ছবির মধ্যে একটা ছবি হয়তো চলছে। এদিকে অগুনতি ছবি তৈরীর অপেক্ষায় বসে আছে।” ঐন্দ্রিলা এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, একসাথে থাকলেও অভিনয় করার সিদ্ধান্ত একান্ত ব্যক্তিগত, তাই যে কোনও চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অঙ্কুশের পারমিশনের তাঁর প্রয়োজন নেই।