আমদাবাদ (Ahmedabad Plane Crash) থেকে আকাশে ওড়ার পর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আবার মাটি ছুঁয়ে মৃত্যুর অতলে ডুবে যায় বিমান (Flight AI171) বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ (Boeing 787 Dreamliner)। এই বিমান দুর্ঘটনা যেন গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনই প্রাণ হারিয়েছেন, যা কল্পনারও অতীত। শুধু একজন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছেন। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে মৃত্যু এতটাই নিঃশব্দ, এতটাই নিঃসহায় ছিল, যা ভাবলেই শিরদাঁড়া বেয়ে কাঁপুনি নামছে।
বিমানটি আকাশে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই এক বিকট শব্দে ভেঙে পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণের ফলে কেউই বাঁচার সুযোগ পাননি। যাঁরা ছিলেন ভেতরে, তাঁদের শেষ মুহূর্তের আতঙ্ক, যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা আমরা কেবল কল্পনাতেই কেঁপে উঠছি। যদিও দুর্ঘটনার কারণ এখনও তদন্তাধীন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যান্ত্রিক ত্রুটি এবং তাতে সৃষ্ট আগুনই এই বিভীষিকার জন্ম দিয়েছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় গোটা দেশ শোকস্তব্ধ। বলিউড থেকে টলিউড, সব মহলের মানুষজন তাঁদের শোক প্রকাশ করছেন। শাহরুখ খান সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, এই ঘটনা তাঁর মন ভেঙে দিয়েছে এবং তিনি প্রার্থনা করছেন মৃতদের আত্মার শান্তির জন্য। আমির খান লিখেছেন, এই ভয়ঙ্কর ক্ষতির সময় নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই আমরা সবাই। অল্লু অর্জুন থেকে আলিয়া ভট্ট, সকলেই তাঁদের শোকবার্তা জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনা তাঁদের ভেতরটা কাঁপিয়ে দিয়েছে।
তাঁরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এবং মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় শুধুই সংখ্যার হিসেবে ২৪১ জন হারিয়ে যাননি, প্রতিটা মৃত্যু এক একটা পরিবারের চিরকালের শূন্যতা তৈরি করেছে। এমনই এক যাত্রী ছিলেন কলকাতার মেয়ে প্রীতি চট্টোপাধ্যায়, যিনি যাচ্ছিলেন লন্ডনে। পরিবারের তরফে কেউই কথা বলার মতো অবস্থায় নেই এখন। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হতেই স্বজন হারা শোকে ভেঙে পড়েছেন এক অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে পাশে নেই স্ত্রী শ্রেয়া! জয়জিতের একার কেক কাটায় ফের বাড়ল বিচ্ছেদের গুঞ্জন!
সমাজ মাধ্যমে চোখের জলে প্রীতি-র উদ্দেশ্যে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়েছেন তাঁর এই পুরনো বন্ধু অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। কলেজ জীবনের দুই বন্ধু তাঁরা, একদিন দুই চোখে স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রীতি তাঁকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের, তিনি লিখেছেন—”রেস্ট ইন পিস প্রীতি, ওর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।” তিনি জানিয়েছেন, খবরটি পাওয়ার পর থেকেই তাঁর ভেতরটা যেন ফাঁকা লাগছে। নিজের প্রাণের মানুষটাকে হারানো যে কতটা বেদনাদায়ক, তা যেন ফুটে উঠেছে প্রতিটি শব্দে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।