‘আমি হেরে গেছি’-বাস্তবে মা হতে না পারা নিয়ে আক্ষেপ ঋতাভরির 

মা হতে গেলে সন্তান প্রসব করতে হবে এমন ছকে বাঁধা কোনো নিয়ম নেই। মা হতে গেলে দরকার একটি বড় মনের। আর তা থাকলেই শুধু একজনের নয়,মমতা দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া যায় সকলকে। সম্প্রতি নন্দিনী ধারাবাহিকের হাত ধরে ওয়েব জগতে পা রাখতে চলেছেন অভিনেত্রী ঋতাভরি চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)। মাস কয়েক আগেই নিজের ইনস্টাগ্রামে আপকামিং নতুন ওয়েব সিরিজ ‘নন্দিনী’ লুক প্রকাশ্যে আনেন। যা দেখে শোলগোল পড়ে নেটপাড়ায়। ভক্তদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে কি ‘মা’ হতে চলেছেন তাঁদের প্রিয় নায়িকা?

তারপরই খোলসা হল রহস্যের? ‘নন্দিনী’ গল্পটি স্নিগ্ধা নামের একটি মেয়ের জীবনকে কেন্দ্র করে। অভিনয় করছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। গল্পের স্নিগ্ধা সন্তানসম্ভবা। মা হওয়ার এই খুশি বেশি দিন টেকে না স্নিগ্ধার কপালে। ডাক্তার জানিয়ে দেয় যে এই বাচ্চা কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিনি যেন গর্ভপাত করিয়ে নেন ।

এই খবর শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই স্নিগ্ধার পরিবারের সকলের মন খারাপ হয়ে যায়। রাতের ঘুম উড়ে যায় তাঁদের। কিন্তু হঠাৎ করেই রাতের বেলা স্নিগ্ধার টেলিফোন বেজে ওঠে। ফোন ধরতেই একটি বাচ্চা ওপাশ থেকে বলে ওঠে ‘মা আমি এখনো মরে যায়নি আমি এখনো বেঁচে আছি’। আর তার পরের গল্পটা জমে যাবে ধারাবাহিকে।

তবে ঋতাভরি কিন্তু শুধু পর্দার মা নন। বাস্তব জীবনেও নায়িকা একাধিক বাচ্চার ফ্রস্টার মাদার। কি ভাবছেন? এ আবার কি ধরণের মাতৃত্ব? বিদেশে বায়োলজিক্যাল মা না হলেও শুধু বাচ্চার দায়ভার গ্রহণ করে, তাঁদের নিজের মত করে বড় করে তোলেন, তাঁরাও মা। আর এমনই এক দল মুক ও বধির বাচ্চাদের নিয়ে নায়িকার স্কুল আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ।

এই স্কুলের কিছু বাচ্চাকেই নতুন জীবন দান করতে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় স্তরের এক চিকিৎসা ক্ষেত্রে। একটি বিশেষ প্রকার অপারেশন ও থেরাপির মাধ্যমে মুক ও বধির বাচ্চাদের ট্রিটমেন্ট করাতে। কিন্তু শেষমেষ অভিভাবকরা বেঁকে বসায় তা করতে অক্ষম হন নায়িকা। তাঁর আক্ষেপ,”আমি হেরে গেছি। হয়ত আমি আমার বাচ্চার জন্য রিক্স নিতাম। অপারেশনটা হলে ওরা নিজের স্বনির্ভর হবে। আজ হয়ত আমি তাঁদের বায়োলজিক্যাল মা না বলেই, আমি আজ অক্ষম।”