টলিপাড়ায় (Tollywood ) এখন বছর বছর বাজছে বিয়ের সানাই। প্রায় প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই নিজেদের মনের মানুষের সন্ধান করছেন । আর যারা এখনও বিয়ে করেননি তারা প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন। তবে অনেক সময় তারকারা যাদের এত ভালবেসে লোক দেখিয়ে বিয়ে করছেন তাদের সম্পর্ক কিন্তু চিরস্থায়ী হচ্ছে না। কিছুদিন চলার পর সেই সম্পর্ক কিন্তু ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছে। এমনকি একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তারা।
সাম্প্রতিক সময়ে এইরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। কখনও দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে, আবার কখনো ভাঙছে দাম্পত্য। এই যেমন চলতি বছরে চার বছরে বিবাহিত জীবনে ইতি টানেন জিতু কমল ও অভিনেত্রী নবনীতা দাস। শোনা যায় অন্য একজন সঙ্গে নবনীতা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেই এই ভাঙন। এছাড়াও এই বছরে সম্পর্ক ভাঙে শোভন-স্বস্তিকা, সোহিনী-রণজয়ের মতো দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকা তারকাদের। এই দুই সম্পর্ক ভাঙতেই দেখা যায় শোভন আর সোহিনী আবার প্রেম করা শুরু করে দিয়েছেন।
এই যেমন সোমবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বাংলার জনপ্রিয়তম অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। বাংলার তারকা গায়ক অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রীকে বিয়ে করলেন তিনি। আর সেই নিয়েই জোর চর্চা। নিজের ভালো বন্ধুর বউকে কি করে বিয়ে করে নিলেন পরমব্রত? কী করে ভাঙলেন বন্ধুর ঘর?
যদিও এই রকম উদাহরণ টলিপাড়ায় কম নেই। নুসরত, শ্রাবন্তী, পিয়াদের একের পর এক ঘর ভাঙার মাঝেও কিছু ব্যতিক্রমী সম্পর্ক দেখলে আজও ভালোবাসার ওপর আস্থা রাখা যআয়। কিন্তু এই বিচ্ছেদের ভিড়েও এই টলি পাড়াতেই কিছু কিছু সম্পর্ক চিরকালীন হয়ে টিকে গেছে।
উদাহরণ হিসেবে বলাই যায়, যেমন কোয়েল-রানে, জিৎ-মোহনা, রাজা-মধুবনী, সৌরভ-ত্বরিতা, সম্রাট-ময়না, ঋত্বিক-অপরাজিতা, প্রিয়ম-শুভজিৎ, ওম-মিমি একাধিক সব উদাহরণ। তালিকায় রয়েছে আরও নাম। একজন মানুষের প্রেমেই পড়েছেন তারা। একজন মানুষেই মজেছেন। তারা কখনও ছাড়তে চান একে অপরের হাত। আর তাই ছাড়া ধরার এই খেলায় জিতেছে ভালোবাসা।