আবার সমাজ মাধ্যমে নতুন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে টেলি অভিনেত্রী ‘অনন্যা গুহ’ (Ananya Guha)। কিছুদিন আগেই পোশাক সংক্রান্ত বিতর্কে (Controversy) জড়িয়েছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। নতুন গাড়ি কেনার একটি ভ্লগ পোস্ট করেছিলেন তিনি, সেখানেই তার পোশাক এবং পাশে গুরুজনদের উপস্থিতি নিয়ে চরম কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাকে। সম্প্রতি একটি পেশাদার ফটোশুটে অংশ নিয়েছিলেন তিনি, যার থিম ছিল সামার স্পেশাল। শুটিংয়ের জন্য তিনি বেছে নেন সমুদ্র সৈকতের ধারে সাদা-কালো বি’কিনি (Bikini) লুক।
রোদ, বালি আর তার আত্মবিশ্বাস মিলে তৈরি হয় এক নান্দনিক মুহূর্ত। কিন্তু ছবি পোস্ট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভাইরাল হয় এবং নানা প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। ছবি আপলোড হওয়ার পর অনন্যা ভেবেছিলেন হয়তো প্রশংসার ঢেউ উঠবে, কিন্তু ঘটল উল্টো। কমেন্ট বক্স ভরে গেল নানা ধরনের তির্যক মন্তব্যে। কেউ সরাসরি লিখলেন, “আপনার তো অভিনয়ের চেয়ে শরীর দেখানোতেই বেশি আগ্রহ!” আরেকজন যোগ করলেন, “এটাই কি এখন তারকা সংস্কৃতি? যেন বিকিনি পরে ছবি তোলা না হলেই সর্বনাশ!”
এবার অবশ্য অনন্যা আর চুপ থাকেননি। পাল্টা জবাবে তিনি লিখেছেন, “আমার শরীর, আমার পছন্দ হলে যা ইচ্ছা পরব। আর বিকিনি পরা অপরাধ নয় বরং কটাক্ষ করা অপরাধীর লক্ষণ। ছেলেরাও তো রাস্তায় খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায়, তখন কাউকে বলতে শুনি না কেন?” কিন্তু হায়, এই উত্তরে কটাক্ষের ঝড় থামার বদলে আরও বেড়ে গেল! দর্শক মহল থেকে কেউ কেউ বললেন, “তাহলে আর কি, একজন পুরুষমানুষ খালি গায়েও রাস্তায় বের হতে পারেন। যে কোনো জায়গায় হি’সু করতে পারেন, আমরাও তাই করি।
View this post on Instagram
আর রইলো বাকি বাবা-মায়ের লজ্জা? পয়সা আসতে শুরু করলে সব মানানসই হয়ে যায়, সবই কাজের অংশ হয়ে যায়!” ট্রোলিংয়ের মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে, আরও এক দর্শক সরাসরি লেখেন, “অভিনেত্রী হলে বুঝি সব কিছুই করা যায়? লজ্জা, সম্ভ্রম, সভ্যতা এসব ওদের কাছে কোনও ব্যাপারই না। ছিঃ, নোংরামির চূড়ান্ত!” এমনকি কেউ কেউ ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলতে ছাড়েননি, “এদের বাবা-মায়েরা এভাবেই এদের শিক্ষা দিয়েছেন?
আরও পড়ুনঃ সমাজ মাধ্যমে ‘কুরু’চিকর’ কনটেন্ট নিয়ে বিপাকে স্যান্ডি সাহা! পোশাকের দ্বারা দেশের সংস্কৃতির অবমাননা, এডভোকেট সঙ্গীতা দাস জানা’র তরফে আইনি অভিযোগ দায়ের! ভুল স্বীকার না করে, ‘বাবা-মা’ তুলে গালা’গাল করলেন স্যান্ডি!
ছিঃ লজ্জা হয় না এদের! কিভাবে এর পরেও মানুষের সামনে দাঁড়ায়? নিজেদের ইনফ্লুয়েন্সার বলে দাবি করে! এ কেমন ইনফ্লুয়েন্স করছে তারা?” সব মিলিয়ে, অনন্যার সামার স্পেশাল ফটোশুট এখন সমাজ মাধ্যমে যেন “গরমে গরম” কেলেঙ্কারিতে পরিণত হয়েছে। সমর্থকরা যদিও বলছেন, তিনি নিজের মতো বাঁচার অধিকার রাখেন, কিন্তু সমালোচকেরা এখনও তাঁকে ছাড়তে নারাজ। এরপরে অভিনেত্রী কি করবেন, তা সময় বলবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।