“ইন্দ্রানী অনুমতি চায়, অঞ্জনা নয়!” “জুতো সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবই আমার আয়ত্তে”— অকপট স্বীকারোক্তি অভিনেত্রীর! ধারাবাহিকে দাপুটে গৃহিণী, বাস্তবে নিঃসঙ্গ লড়াই! কলকাতায় একা থাকেন, সিদ্ধান্ত নিজেই নেন! বাস্তব জীবনের অঞ্জনা আলাদা বলেই কী দর্শকের প্রিয়? কী বলছেন অভিনেত্রী?

বাংলা চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিক— দুই মাধ্যমেই সমান সাবলীল অভিনয়ে দর্শকদের মনে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন অভিনেত্রী ‘অঞ্জনা বসু’ (Anjana Basu)। কখনও তিনি বড়পর্দায় দেখা দিয়েছেন নায়কের মায়ের চরিত্রে, আবার কখনও ছোটপর্দায় তাঁর কঠিন ও সংবেদনশীল চরিত্রে মুগ্ধ হয়েছেন টিভি দর্শক। দেবের মায়ের মতো সংবেদনশীল চরিত্র হোক বা জিতের পিসির মতো গম্ভীর ব্যক্তিত্ব— প্রতিটা রূপেই তিনি অনবদ্য।

সম্প্রতি বড়পর্দায় তাঁকে দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর বিপরীতে ‘শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতী’ ছবিতে, যেখানে তিনি মিঠুনের স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন এক দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতায়। বর্তমানে তিনি জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘কুসুম’-এ ‘ইন্দ্রানী গাঙ্গুলী’-র চরিত্রে অভিনয় করছেন। এই চরিত্রটি একাধারে শক্তিশালী, আত্মবিশ্বাসী এবং দাপুটে। ইন্দ্রানী শুধু ব্যবসার মাঠেই নয়, নিজের পরিবারের দিক থেকেও একজন পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রক, যার কথায় চলে পুরো সংসার।

এই ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার জন্য যে অভিজ্ঞতা ও মনের জোর দরকার, তা অঞ্জনার মধ্যে বরাবরই দেখা গিয়েছে। তাই অনেকের কাছেই তাঁর এই রূপান্তর সহজে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইন্দ্রানী চরিত্র নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন অঞ্জনা। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, তিনি আর ইন্দ্রানী চরিত্রের মধ্যে কোনও মিল খুঁজে পান কিনা। হেসে অঞ্জনা উত্তর দেন, ইন্দ্রানী জীবনের সব সিদ্ধান্ত নিতে স্বামীর অনুমতি চায়, কিন্তু বাস্তব জীবনে অঞ্জনা সেই পথে হাঁটেন না।

তিনি জানান, তাঁর স্বামী নিজেই তাঁকে সংসারের সব দায়িত্ব দিয়ে নির্ভার করেছেন। ফলে প্রতিটি সিদ্ধান্তেই অঞ্জনা নিজে স্বাধীনভাবে মতামত নিতে পারেন এবং সেভাবেই চলেন। অভিনেত্রী জানান, তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে অন্য শহরে থাকেন, আর তাঁদের ছেলে মাঝেমধ্যে কলকাতায় আসেন। তাই বেশিরভাগ সময় একাই থাকতে হয় তাঁকে। তিনি বলেন, “বাড়িতে কেউ না থাকলে সব কাজ নিজের হাতে করতে হয়। তবে শুটিং ফ্লোরেই বেশি সময় কাটে, সেটাই যেন একাকীত্বের সঙ্গী।”

আরও পড়ুনঃ আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা এবার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে! সূর্য-দীপার পথচলা এবার আকাশপথেই শেষ! নতুন প্রোমো দেখে দর্শকদের কটাক্ষ— “ম’র্মান্তিক ঘটনাকে হাস্যরসে পরিণত করবে এই ধারাবাহিক”, “সবাই বয়কট করুন!”

যদিও তিনি এটা বলেছেন, ছেলে ও স্বামী যখন শহরে থাকেন, তখন বাড়ির পরিবেশ একেবারেই বদলে যায়। তখন যত রাতই হোক, একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া, গল্প করা— সবই হয়। এই সহজ-সরল অথচ আত্মবিশ্বাসে ভরা অঞ্জনার মধ্যে দর্শক খুঁজে পান এক বাস্তব জীবনের অনুপ্রেরণা। অভিনয় তাঁর কাছে শুধু কাজ নয়, জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্যক্তিগত জীবনের নিরন্তর ব্যস্ততা এবং পেশাগত জীবনের চরিত্রনির্মাণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখেই তিনি এখনও সমান দক্ষতায় কাজ করে চলেছেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।