ভুল হলে ক্ষমা থাকলেও অন্যায় কখনো সহ্য করি না! বাড়ির প্রতিটি মানুষকে সম্মান করতে হবে! এটাই আমার জীবনের আদর্শ, অকপট অঞ্জনা বসু

অঞ্জনা বসুর নতুন ধারাবাহিকে উঠে এসেছে এক শক্তিশালী নারী চরিত্র ইন্দ্রানী গঙ্গোপাধ্যায়। এই চরিত্রটির মধ্যে কঠোরতা আর শৃঙ্খলার এমন এক ছাপ, যা বাড়ির সকলকে এক ধরনের ভয়ের ছায়ায় আবৃত করে রেখেছে। কিন্তু এই ভয় নেগেটিভ নয়, বরং এক ধরনের সম্মানের প্রতীক। এভাবেই ধীরে ধীরে দর্শকের মনে জমে ওঠেছে এই চরিত্রের দাপুটে বৈশিষ্ট্য।

ইন্দ্রানী গঙ্গোপাধ্যায়ের চরিত্র তৈরি করতে গিয়ে অঞ্জনা বসু বলেছেন, তার ব্যক্তিত্ব অনেকটা এই চরিত্রের সঙ্গে মেলে। তিনি নিজেও নিজের প্রতি অত্যন্ত স্ট্রিক্ট, বিশেষ করে অন্যায়ের ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয় না। ভুল হলে ক্ষমা থাকলেও অন্যায় কখনো সহ্য করেন না। বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে সম্মান দিতে হবে—এটাই তার মূলমন্ত্র। আর যারা নিজের কর্তব্যে নিষ্ঠাবান, তাদের কাছে নিজেও কঠোর হতে চান। এই শৃঙ্খলা রক্ষা করাই তার জীবনের বড় অঙ্গ।

অঞ্জনা জানান, শৃঙ্খলা ও সম্মানের ভেতরে লুকিয়ে আছে এক আদর্শ জীবন দর্শন। অনেকেই কঠোরতা ও ডিসিপ্লিনকে নেগেটিভ ভাবেন, তবে তার মতে তা ভুল। তিনি বিশ্বাস করেন, জীবনে ভয় থাকা জরুরি—তাতে ভক্তি গড়ে ওঠে এবং সেটিই আসলে সম্মানের ভিত্তি। বর্তমান প্রজন্মে ভয়ের অভাব দেখেই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। তার নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকেও তিনি উদাহরণ দেন—ছেলের প্রতি তার শৃঙ্খলা ও কঠোরতা এখনো টিকিয়ে রেখেছেন।

অঞ্জনার মতে, বাড়ির হাউসহেল্পদের সাথেও সমান সম্মান থাকা উচিত। তার জন্য পরিবারের সবাইকে, বড়দের সম্মান দিতে শিখতে হবে, আর সেটাই সামাজিক মূল্যবোধকে শক্ত করে। আজকের যুগে মানুষ ফেসবুক, মোবাইলে এত ব্যস্ত যে মুখোমুখি আড্ডা, পারস্পরিক সম্পর্ক অনেকটাই হ্রাস পাচ্ছে। সেই দিকেও তার গভীর দৃষ্টি রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ “মেয়ের মা মানেই খারাপ নয়”—সুস্মিতার মাকে নিয়ে অবমাননার বিরুদ্ধে সরব প্রাক্তন স্বামী সব্যসাচী!

শেষে অঞ্জনা বললেন, কাজের জগতে তিনি এখন আর কারো ওপর জোর করে মাতবড়ি করেন না। যাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দরকার, তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এগোচ্ছেন। নিজের জীবনে কঠোরতার পাশাপাশি নম্রতাও রাখতে চান। এইভাবেই ধারাবাহিকের মাধ্যমে তিনি সামাজিক মূল্যবোধের একটি দিক তুলে ধরছেন, যা দর্শকদের মধ্যে নতুন ভাবনার সঞ্চার করবে।