‘নবান্ন হোক বা অরূপ দার অফিস, সর্বত্রই পাশে থাকার অনুভূতি পেয়েছি, যে কোন‌ও পরিস্থিতিতে পাশে থেকেছেন!’ অরূপ বিশ্বাসের মন্ত্রীত্ব ছাড়ায় দুঃখিত দিব্যজ্যোতি দত্ত

শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসিকে ঘিরে যে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে, তার রেশ এখনও কাটেনি। প্রিয় ফুটবল তারকাকে সামনে থেকে দেখতে না পাওয়ার ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম চত্বর। ভাঙচুর ছড়িয়ে পড়ে, তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। এরই মাঝে ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন অরূপ বিশ্বাস। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনি জানান, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। বিষয়টি এখন মুখ্যমন্ত্রীর বিবেচনাধীন।

অরূপ বিশ্বাস শুধু ক্রীড়া দুনিয়াতেই নন, বাংলা বিনোদন জগতেও অত্যন্ত পরিচিত ও ঘনিষ্ঠ মুখ। টলিপাড়ার বহু শিল্পীর মতো অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্তের কাছেও তিনি খুব কাছের মানুষ। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ঠিক কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারবেন না। তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, অল্প দিনের ইন্ডাস্ট্রি জীবনে সবসময়ই সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছেন। নবান্ন হোক বা অরূপ দার অফিস, সর্বত্রই তিনি পাশে থাকার অনুভূতি পেয়েছেন।

যুবভারতীর ঘটনার বিষয়ে দিব্যজ্যোতির মত স্পষ্ট। তাঁর কথায়, হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেও যারা মেসিকে দেখতে পেলেন না, তাঁদের হতাশা স্বাভাবিক। তাঁর নিজের বন্ধুরাও সেই ভিড়ের মধ্যে ছিলেন এবং নিরাশ হয়ে ফিরেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন। অভিনেতার মতে, শুরু থেকেই ব্যবস্থাপনায় কোথাও না কোথাও সমস্যা ছিল, যার ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মেসি আগেও ভারতে এসেছিলেন। ২০১১ সালেও তাঁর আগমন নিয়ে বিপুল উন্মাদনা ছিল। সেই স্মৃতির কথাও উঠে আসে দিব্যজ্যোতির কথায়। তখনও রাজ্যে একই রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় ছিল, এখনও আছে। তবু কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অভিনেতা। মজা করেই বলেন, তবে কি এর পিছনে কোনও অজানা অভিশাপ কাজ করছে। যদিও তাঁর কথার সুরে ছিল আক্ষেপই বেশি, রসিকতা কম।

আরও পড়ুনঃ “কটা দুর্গাপুজো করেই নিজেদের আন্তর্জাতিক তারকার সমকক্ষ ভাবছে, এভাবে কোমর ধরাটা শিক্ষার অভাব!” “বাংলার মানুষদের ভবিষ্যতে এভাবে টাকা ঢালার আগে ভাবা উচিৎ!” কলকাতা হ্যাংলামিতেই সেরা, মেসি অনুষ্ঠান নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া চন্দন সেনের!

ব্যক্তিগত পছন্দের কথাও জানান দিব্যজ্যোতি দত্ত। তিনি মেসির গুণের প্রশংসা করলেও জানান, তাঁর কাছে দেশের ফুটবলার সুনীল ছেত্রীই এগিয়ে। অভিনেতা বলেন, তিনি নিজে খুব বেশি ফুটবল বোঝেন না, ক্রিকেট খেলতেই বেশি ভালোবাসেন। তবে দেশের প্রতি টানই তাঁর কাছে সবথেকে বড়। তাঁর চোখে সুনীল ছেত্রী শুধু একজন ফুটবলার নন, তিনি দেশের গর্ব, যাঁর নাম আজ বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল।