টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু (Ranojoy Bishnu) এখন সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছে বেশ পরিচিত মুখ। গত শনিবার অর্থাৎ ২২ মার্চ ছিল তাঁর জন্মদিন (Birthday)। এদিন সেটেই সহকর্মী ও অনুরাগীদের সাথে, অনুরাগীদের তৈরি “পায়েস কেক” কেটে উদযাপন করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে তাঁর জীবনে প্রথম থেকেই জন্মদিন কখনোই তেমন বিশেষ কিছু ছিল না। ছোটবেলা থেকেই তিনি অত্যন্ত সাধারণভাবে দিনটি কাটিয়েছেন, পরিবারে বড়সড় উদযাপনের কোনও প্রচলন ছিল না।
এবছর শুটিং ফ্লোরেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেন অভিনেতা। আজ তাঁর কাছে জন্মদিনের অর্থ স্বঘোষিত ছুটির একটা দিন। তবে কেক কাটার পরই তিনি জানালেন, ছোটবেলায় জন্মদিন নিয়ে বিশেষ কোনও উচ্ছ্বাস তাঁর ছিল না, কারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মদিন মানেই ছিল কিছু পছন্দের খাবার আর বড়দের আশীর্বাদ।সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে রণজয় বলেন, “আমাদের বাড়িতে জন্মদিন নিয়ে কখনও তেমন কোনও বিশেষ আয়োজন হত না।
বাড়িতে সারা বছরে হাতে গোনা কয়েকটা দিন মাংস আসত, জন্মদিনটা ছিল তার মধ্যে একটা। কেক কাটার কোনও ব্যাপারই ছিল না, আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না থাকায় বন্ধুদের নিয়েও কখনও আলাদা করে জন্মদিন পালন করিনি।” ছোটবেলায় জন্মদিন মানেই ছিল পরিবারের সঙ্গে একটু ভালো খাওয়া-দাওয়া আর স্নেহ-আশীর্বাদ পাওয়া। আর্থিক কারণে বন্ধু-বান্ধবও ছিল হাতে গোনা। রণজয়ের প্রথম কেক কাটার অভিজ্ঞতাও বেশ আলাদা।
তিনি বলেন, “আমি ক্লাস ইলেভেন-টুয়েলভে পড়ার সময় প্রথমবার কেক কেটেছিলাম, তাও আবার এক বন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটার দৃশ্য দেখে ইচ্ছে হওয়াতে।”তবে তাঁর মতো পরিস্থিতির কারণে তিনি কখনও বন্ধুদের জন্মদিনেও বিশেষ আমন্ত্রিত হতেন না। তাই জন্মদিনের আড়ম্বর থেকে তিনি বরাবরই দূরে ছিলেন। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে রণজয়ের জীবনের এই দিকটা বদলেছে। গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে জন্মদিন কীভাবে পালিত হয়, তা তিনি বুঝতে শিখেছেন।
আরও পড়ুনঃ “রুক্মিণী মোটেই মিথ্যে বলছে না! বরং সৃজিত এখন শুভশ্রীকে পেয়ে মিথ্যে বলছে”— রুক্মিণীকে অপমানের জবাবে শুভশ্রীকে পাল্টা ধুয়ে দিলেন দেব!
তাঁর মতে, “এখন বুঝতে পারি, জন্মদিন মানে শুধু কেক বা পার্টি নয়, বরং অনুরাগীদের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাই আসল উপহার।” তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর থেকে অনুরাগীদের ভালোবাসায় ভেসে যাচ্ছেন এবং তাঁদের ভালোবাসাই এখন তাঁর জন্মদিনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তবে বিশেষ এই দিনে তাঁর মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, “আজকের দিনটা মা থাকলে হয়তো আরও বিশেষ হতো।
ছোটবেলায় কিছু পাই বা না পাই, মায়ের আশীর্বাদটাই ছিল আমার কাছে সবকিছু, আজও সেটাই আমার সবচেয়ে বড় উপহার।” সবশেষে শ্যামৌপ্তি (Shyamoupti Mudly) কি উপহার দিলেন জানতে চাওয়া হলে রণজয় কিছুটা লাজুকভাবে এগিয়ে যান বিষয়টি। শুটিং সেটে কেক কাটা, সহকর্মীদের শুভেচ্ছা আর অনুরাগীদের ভালোবাসার মধ্যেই এবছরের জন্মদিন কাটালেন রণজয়, তবে মনের মধ্যে স্মৃতির পাতায় রয়ে গেল ছোটবেলার সেই অনাড়ম্বর অথচ আন্তরিক মুহূর্তগুলো।