ভোটের মরসুমে ফের উত্তপ্ত রাজ্যরাজনীতি। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারাও এখন ভোট নিয়ে সরব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এক ভিডিও, যেখানে অভিনেতা চন্দন সেনকে দেখা গেছে ভোট নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করতে। ভিডিওটি প্রকাশ করেছে রেভিলিউশন বেঙ্গল নামে এক ইউটিউব চ্যানেল। তাঁর বক্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
চন্দন সেন কোনো দলের নাম না করেই বলেন, “আমরা চারটে রাজনৈতিক দলের কাজ দেখেছি — কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম বা বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল কংগ্রেস। এখন স্পষ্ট, কারা সাধারণ মানুষের ভালো চান, আর কারা শুধু কিছু মানুষের সুবিধে দেখেন। কেউ খেটে খাওয়ার মানুষের পাশে, কেউ আবার খাটিয়ে নেওয়ার দলে।” তাঁর এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে নড়েচড়ে বসেছে সবাই।
এখানেই থামেননি চন্দন। তিনি আরও বলেন, “আজ ইলন মাস্ক নিজে প্রমাণ করে দিয়েছেন, ইভিএম মেশিন হ্যাক করা সম্ভব। বুথে কেউ যদি এসে বলে ‘তোর হয়ে গেছে’, তাহলে বলতে হবে ‘না হয়নি, আমি নিজেই দেব’। যতক্ষণ পর্যন্ত এই ব্যবস্থাটা বদলাচ্ছেন না, কিছুই বদলাবে না।” তাঁর এই মন্তব্যে একাংশের মতে, তিনি ভোটব্যবস্থা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
এদিকে সামনে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই সব দল মাঠে নেমে পড়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া—যার মাধ্যমে ভোটার তালিকা সংশোধন হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্ব একাধিক জায়গায় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সরব, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আশ্বাস দিচ্ছেন সিএএ আইনকে ঘিরে। রাজনৈতিক উত্তেজনা তাই ক্রমেই বাড়ছে রাজ্যে।
“তোকে ছাড়া বাঁচতে পারব না, এই কথাটা মোহ…কাল পরশু আমি তাকে ছাড়া বাঁচতেই পারি। এই ভালোবাসা নিয়ে চলা যায় না।”— তথাগতকেই কি উদ্দেশ্য করে বললেন দেবলীনা দত্ত? ভালোবাসার ভাঙন নাকি মনের গভীরে চাপা যন্ত্রণা— কী বোঝালেন টলিউড অভিনেত্রী?
সব মিলিয়ে চন্দন সেনের মন্তব্যে নতুন করে আলোচনায় এসেছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ। অভিনেতার বক্তব্যে তিনি সরাসরি কারও নাম না বললেও, তাঁর কথার ইঙ্গিত কোন দলের দিকে—সেই নিয়েই এখন সরগরম টলিপাড়া থেকে রাজনৈতিক অঙ্গন। স্পষ্ট, ভোটের আগে ফের একবার রঙিন দুনিয়ায়ও লেগেছে রাজনীতির ঝড়।






