বড় পর্দার শ্রীচৈতন্যকে ছোট পর্দা শ্রীচৈতন্যর আশীর্বাদ! ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে দিব্যজ্যোতির আত্মনিবেদন! সহ-অভিনেতা যিশুর স্মৃতিতে ফিরল পুরনো দিন!

নতুন সফরের সূচনায় শ্রীচৈতন্য অবতারে ধরা দিয়েছেন ‘দিব্যজ্যোতি দত্ত’ (Dibyojyoti Dutta)। ছোট পর্দা পেরিয়ে এবার বড় পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ, আর সেই সুযোগ এনে দিয়েছেন খোদ ‘সৃজিত মুখোপাধ্যায়’ (Srijit Mukherji)‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ (Laho Gouranger Naam Re) ছবিতে দিব্যজ্যোতির চরিত্র ‘শ্রীচৈতন্য’, যা বাঙালির হৃদয়ে আজও এক আবেগের নাম। আর যিনি এই চরিত্রকে একসময় জীবন্ত করে তুলেছিলেন, সেই ‘যিশু সেনগুপ্ত’ (Jisshu Sengupta) এখন তাঁর সহ-অভিনেতা, নিত্যানন্দের ভূমিকায়। এই যুগলবন্দি নিয়েই যেন তৈরি হচ্ছে নস্ট্যালজিয়া আর নতুন ইতিহাস।

সেই অভিজ্ঞতার কথাই ভাগ করে নিলেন দিব্যজ্যোতি। শুটিংয়ের প্রথম দিনটা যেন দিব্যজ্যোতির মনে চিরকাল গেঁথে থাকবে। যিশুর সামনে যখন প্রথম শ্রীচৈতন্যের রূপে এসে দাঁড়ালেন, অভিজ্ঞ অভিনেতার মুখে প্রশংসা এর সেই চেনা হাসি। সোজা জড়িয়ে ধরে আদরে ভরিয়ে দিলেন দিব্যজ্যোতিকে। সেই মুহূর্তেই যেন বিপুল মনের জোর পেয়েছিলেন বড় পর্দায় এই নবাগত অভিনেতা। যিশুর কণ্ঠে উৎসাহের স্বর, “তুই পারবি।” এই একটি বাক্যই যেন দিব্যজ্যোতির হৃদয়ে স্থায়ী ভাবে থেকে যাবে আজীবন।

একসময় যিশুর অভিনয় জীবনও শুরু হয়েছিল শ্রীচৈতন্য রূপে। ‘মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। সে সময়ের নানা গল্প ভাগ করে নিয়েছেন যিশুও। দিব্যজ্যোতির কথায়, তিনি শুনেছেন কত পরিশ্রম করে চরিত্রে ডুবে গিয়েছিলেন যিশুদা। ছোট বয়সে রোগাটে চেহারা, তবু একাগ্রতায় কীভাবে চরিত্র হয়ে উঠেছিলেন, তা যেন তাঁর জন্য এক শিক্ষণীয় অনুপ্রেরণা। দিব্যজ্যোতি নিজেও চরিত্রে নিখুঁত হয়ে উঠতে কোনও খামতি রাখছেন না।

শ্রীচৈতন্য রূপে নিজেকে প্রস্তুত করতে কমিয়েছেন ২৫ কেজি ওজন, মাথা করেছেন ন্যাড়া, কেবলমাত্র চরিত্রের ভাবগম্ভীরতা বজায় রাখতেই। তাঁর নিজের কথায়, “সৃজিতদার ছবি দিয়েই বড় পর্দায় ডেবিউ করছি। এটা শুধু একটা কাজ নয়, এটা আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। তাই তাঁর সম্মান রাখাটাও আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।” দিব্যজ্যোতি বলেন, যিশু কখনও নির্দেশ দেননি কীভাবে অভিনয় করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ সংসার থেকে চিরকালের মতো ছুটি চাইল কমলিনী! চন্দ্রর সঙ্গে বিয়ের বাঁধনে পরতে চায় না কমলিনী! তবে, কি মুখার্জি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসবে নতুনের বৌঠান? এই সিদ্ধান্তে কমলিনীর পাশে থাকবে কী স্বতন্ত্র?

বরং বারবার বলেছেন, সৃজিতের কথামতো অভিনয় করতে। নিজের অভিনয় সম্পর্কে কোনও অহংকার নেই তাঁর। সহ-অভিনেতা হিসেবে যিশুকে পাশে পাওয়া ভাগ্যের বিষয় বলে মনে করেন দিব্যজ্যোতি। ইতিমধ্যেই কয়েকদিনের শুটিং শেষ হয়েছে। যিশুর হাসিখুশি, বিনয়ী ব্যবহার তাঁকে প্রতিটি শটেই সাহস দিয়েছে। শ্রীচৈতন্যের আদলে তৈরি এই সম্পর্কই হয়তো সিনেমার বাস্তবতাকে করে তুলবে আরও গভীর, আরও বিশ্বাসযোগ্য।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।