চন্দ্র মুখার্জি বাড়িতে ফিরে এসেছে, তাই শাশুড়ির কাছে সংসার থেকে মুক্তি চাইল কমলিনী। স্টার জলসা ধারাবাহিকের আজকের পর্বে দেখা যাবে, বর্ষার ঘরে সবাই যখন বসে বাবার সঙ্গে আড্ডা মারছে তখন মিটিল চন্দ্রকে নানান রকমের প্রশ্ন করতে থাকে। মিটিল জিজ্ঞাসা করে কোথায় থাকত? কিভাবে থাকত? জায়গার নাম কি?
তবে চাঁদু এইসব প্রশ্নের কোন ভাবেই সঠিক উত্তর দিতে পারছিল না। এমন সময় বর্ষা এবং বুবলাই মিটিলকে বলে সে কেন তাদের বাবাকে অযথা প্রশ্ন করছে? যে হোমে এতদিন তাদের বাবা ছিল তারা যদি খোঁজ করে আর খোঁজ পায় তখন নয় বলে দেওয়া যাবে, এমনটাই বলে বুবলাই।
এরপর চন্দ্র কথা ঘোরানোর জন্য তার ছোট ছেলেকে একটা বাংলা গান গাওয়ার কথা বলে। এরপর বাপি নয় খুশিমনে সবার জন্য গান গায়। বাবিনের গান শেষ হতে না হতেই বাড়িতে এসে হাজির হয় কমলিনীর বাপির বাড়ির লোক। কমলিনীর বাবা চন্দ্রকে দেখে অবাক যেমন হয় তেমনি খুশিও হয়।
এমন সময় কমলিনির বাপের বাড়ির সদস্যরা চাদুর সঙ্গে কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। এমন সময় মৌয়ের মা তাঁর নন্দাই অর্থাৎ চাঁদুর সঙ্গে ঠাট্টা তামাশা করতে শুরু করে। কিন্তু, কমলিনীর দাদা তা মোটেও পছন্দ করে না। এরপর কথায় কথায় কমলিনের শাশুড়ি সকলের সামনে চাঁদু এবং কমলিনীর বিয়ের কথা পারে।
তবে, বিয়ের এই প্রসঙ্গ নিয়ে মুখার্জি বাড়ি একাংশের যেমন সম্মতি রয়েছে তেমনি কিছু সদস্যের এই বিয়েতে আপত্তিও রয়েছে বটে।কোমলিনীর দাদা বলে তাঁর বোন যদি না চায় তাহলে শুধু ঘরোয়াভাবে সিঁদুর পড়ে নিলেই সমস্যা মিটে যায়। এমন সময় কমলিনীর ছোট কাকামনি বলে, চন্দ্র আজ এতদিন পরে ফিরে এসেছি তাই তারও যেমন মানসিকতা বদলেছে তেমন তার বুড়ি মায়েরও মানসিকতা বদলেছে।
অতএব, তাদের সামনা সামনি বসে এই বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা বলা উচিত। এমন সময় ছোট দাদুর বিরোধিতা করে বুবলাই। বুবলাইয়ের মতে, তার বাবা ফিরে এসেছে এবং এখন মায়ের সঙ্গে সংসার করবে এটাই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এই বিয়ে নিয়ে কথা বলতে বলতে বাড়িতে হঠাৎ এসে হাজির হয় অনন্যা এবং ডল।
আরও পড়ুনঃ “নিজের প্রাণের মানুষটাকে হারানো যে কতটা বেদনাদায়ক!”— আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায়, ২৪১ জনের মৃত্যুর তালিকায় নাম রয়েছে স্বজনের! মেনে নিতে পারছেন না বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী!
অনন্যা এবং ডলও বাকিদের মতো খুবই আনন্দ পায় চন্দ্রকে দেখে। অনন্যা বলে আজ কমলিনীর খুশির দিন। এদিকে, ডল বলে কমলিনীদি তোমার এতদিন অপেক্ষা সার্থক হয়েছে। এই কথা শুনে কমোলিনী স্পষ্টভাবে সকলের সামনে উত্তর দেয়। সেই জানত, তার স্বামী মারা গেছে তাই তার কোনদিন অপেক্ষায় সে করেনি। এরপর, অবশেষে কমলিনী তার শাশুড়িকে জানায়, এখন তার ছেলে ফিরে এসেছে তাই চন্দ্র যেনো এই সংসারের দায়িত্ব নেয় এবং তাকে যেন ছুটি দেওয়া হয়।