আসলে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড মানেই সাধারণ মানুষের ধারণা তা খুব ঝা চকচকে হয়ে থাকে। কিন্তু এর ভেতরের গল্প খুব কম সময়ই বাইরে বেরিয়ে আসে। এর ভেতরেও যে বহু মানুষের ব্যক্তিগত জীবন লুকিয়ে রয়েছে এবং লুকিয়ে রয়েছে সেই জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তা অনেকেই ভুলে যায়।
এর ফলে যখন ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশে এসে পড়ে তখন তা নিয়ে নানারকম জল ঘোলা শুরু হয়। চারিদিক থেকে আসতে থাকে নানা রকম প্রশ্নবাণ। ঠিক এমনই নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন গায়ক দুর্নিবার সাহা।
এই নামটি এখন আর বাঙালি সংগীত প্রেমী মানুষদের কাছে অজানা নয়। সারেগামা থেকে উঠে এসে দুর্নিবার নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেছেন সংগীত জগতে। এ পাশাপাশি নায়কের ব্যক্তিগত জীবন বিশেষ করে প্রেম জীবন বরাবর ছিল আলোচনায় কারণ বহু মেয়ের কাছে তিনি ছিলেন ক্রাশ।
View this post on Instagram
যদিও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য নন বিশিষ্ট বাঙালি গায়ক দুর্নিবার সাহা। কিন্তু এই মুহূর্তে গায়কের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিবাহিত জীবন ত্যাগ করে নিজের মতো করে আবার ভালো থাকার হদিস পেয়েছেন নায়ক।
নতুন মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন গায়ক দুর্নিবার সাহা। সেই মহিলা আবার জনপ্রিয় টলিউড সুপার স্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পার্সোনাল ম্যানেজার ঐন্দ্রিলা সেন। সম্প্রতি নিজেদের ভালোবাসার সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন যে দুর্নিবার শুধু তাঁর এবং তাঁরই।
View this post on Instagram
আর ঠিক তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে শুরু হয়েছে চরম আলোচনা এবং কটাক্ষ। যদিও প্রেমিকা সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়ার পরে সেখানে চুপ করে থাকেননি দুর্নিবার। তিনিও ওই কমেন্টের প্রত্যুত্তরে ভালোবাসা জানিয়েছেন নিজের নতুন প্রেমিকাকে।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত বিয়ের মাত্র এক বছর হয়নি তবে এর মধ্যেই ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং দুর্নিবার সাহার। বহু মানুষ এই বিষয়টিকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। ছাড়াছাড়ির বিষয়টি নিয়ে গায়ককে কেন্দ্র করে প্রচুর কটাক্ষ হয়েছে। এবার প্রথমবার মুখ খুললেন দুর্নিবার।
দুর্নিবার বললেন যে যারা গায়কের শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সকলকে একটাই তথ্য তিনি দিতে চান যে তিনি খুব ভালো আছেন। এর পাশাপাশি যারা এই বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ করে চলেছে এবং পরনিন্দা পরচর্চায় ব্যস্ত তাদের উদ্দেশ্যে গায়ক বললেন যে তিনি পরনিন্দা পরচর্চা বা কটাক্ষ কোনোটাকেই বিশেষ পাত্তা দেন না ব্যক্তিগত জীবনে।