“ইডি পারলে সব লুটে পুটে, অঙ্কুশের সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যায়!” ১৯.০৭ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির পদক্ষেপে জল্পনা বাড়তেই, পরিস্থিতি সামাল দিতে সামনে এলেন ঐন্দ্রিলা! ইডির মামলায় ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলে, জানালেন তাঁদের অবস্থান!

নতুন বছরে বাংলা ছবির তালিকায় ইতিমধ্যেই নজর কাড়ছে ‘অঙ্কুশ হাজরা’ (Ankush Hazra) এবং ‘ঐন্দ্রিলা সেন’ (Oindrila Sen) অভিনীত ‘নারী চরিত্র বেজায় জটিল’ (Nari Choritro Bejay Jotil)। ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে, আগামী বছর ৯ জানুয়ারি। তবে, শুরু থেকেই এই ছবির নাম এবং পটভূমি নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে দর্শক মহলে। মহিলা-কেন্দ্রিক গল্পের জন্য এমন শিরোনাম বেছে নেওয়া হয়েছে আর সেই কারণেই ছবিটি নিয়ে কৌতূহল আরও বেড়েছে। বিদেশে গানের শুটিং থেকে শুরু করে স্ক্রিনপ্লে, পুরো টিমই নাকি নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন, এমনটাও শোনা গেল দুই তারকার মুখে।

ছবির প্রচার প্রসঙ্গেই উঠে এসেছে অন্য একটি বিষয়, ইডির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক! বেআইনি বেটিং অ্যাপ সংক্রান্ত ঘটনায় নাম জড়ানোয় বেশ চাপে পড়েছিলেন অঙ্কুশ, সঙ্গে আরও কয়েকজন শিল্পীও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কিছুদিন আগেই জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৯.০৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই খবরে চারদিকে শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা, বিশেষ করে সমাজ এবং সংবাদ মাধ্যমে।

এদিন, ছবির প্রচারে এই বিষয়ে অঙ্কুশের প্রতিক্রিয়া ছিল সংযত ও সোজাসাপটা। তিনি বলেন, “এখন কিছুই বলতে পারব না, কারণ সম্পূর্ণ বিষয়টাই এখন বিচারাধীন। তবে এটা বলতে পারি যে বিজ্ঞাপনের জন্য আমাদের ডাকা হয়েছিল, সেখান থেকে কোথায় কি হয়েছে সেটা জানি না।” অন্যদিকে, ঐন্দ্রিলার কথায় সেই পরিস্থিতি কতটা চাপের ছিল, তা স্পষ্ট। খবর বেরোতেই তাঁদের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যেন যেকোনও সময়ে বড় বিপদ আসতে পারে!

এমন ভয় কাজ করছিল সবার মনে। ঐন্দ্রিলার কথাতেই সেই উদ্বেগের প্রতিফলন, “খবরটা ছড়াতেই দুজনের পরিবারের কাছ থেকে ফোন আসছে। সবাই এমন কান্নাকাটি করে ফোন করছিল যেন, এক্ষুনি পুলিশ এসে বাড়িতে যা আছে সব লুটে পুটে নিয়ে চলে যাবে। ওদের কথায়, ইডি পারলে অঙ্কুশের সঙ্গে আমাকেও নিয়ে যায়! বিভিন্ন জায়গায় অঙ্কুশের নামে খবর বেরোচ্ছে, কেউ কেউ লিখছেন কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত। এত টাকা তো নেইই আমাদের কাছে!”

আরও পড়ুনঃ ছোটপর্দার নামী অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ভয়’ঙ্কর অভিযোগ, তো’লা’বাজিতে জড়িত এই পরিচিত মুখ!

এর মাঝেই ছবির প্রচার, শুটিং ও প্রযোজনার দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাতে হচ্ছে অঙ্কুশকে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রোডিউসার হিসেবে কাজ করা যে সহজ নয়, তা তিনি অকপটেই জানিয়েছেন। অন্যদিকে ঐন্দ্রিলা বলছেন, নিজের সৃজনশীল কাজের সুযোগটাই তার কাছে বড় পাওয়া। সবদিক সামলে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসলেও পর্দায় সেরা দিতে চান দুজনেই। বিদেশে শুট হওয়া গানের সিকোয়েন্সে ঠিক একইভাবে অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁরা।

You cannot copy content of this page