“সাধ্যের বাইরে কিছু নেই—পরিবারের শক্তিতেই আজকের অপর্ণা হয়েছি”- অকপটে স্বীকার করলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী-পরিচালক অপর্ণা সেন! ব্যক্তিগত সংগ্রামের কোন অজানা গল্প ফাঁস করলেন তিনি?

তারকাদের জীবনে পরিবারের ভূমিকা সবসময়ই বিশেষ—সাফল্যের আলোয় দাঁড়াতে গেলে পর্দার আড়ালে থাকে অনেক অদৃশ্য হাত। আলো, ক্যামেরা, অ্যাকশনের ঝলমলে দুনিয়ায় দাঁড়াতে গেলে প্রয়োজন মানসিক শক্তি, সাহস আর নিরন্তর উৎসাহ। আর সেই শক্তির সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে ওঠে পরিবার—যারা প্রথম দিন থেকেই পাশে থাকে, ভুল-সঠিক শেখায়, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। তাই অনেক তারকার জীবনেই পরিবারের প্রেরণা সাফল্যের প্রধান চাবিকাঠি।

ভারতের চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম মুখ অপর্ণা সেন (Aparna Sen) শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি একজন সফল পরিচালক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিল্পী। বাংলা চলচ্চিত্রের উন্নতি, নারীর দৃষ্টিভঙ্গি ও সমাজ বাস্তবতার সিনেমায় তিনি নিয়ে এসেছেন নতুন মাত্রা। তাঁর অভিনয় যেমন প্রখর, তেমনই পরিচালকের চেয়ারে বসে তিনি তৈরি করেছেন একের পর এক কালজয়ী ছবি।

সত্যজিৎ রায়-এর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় অবলম্বনে নির্মিত ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ ছবি দিয়ে তিনি যে অভিনয়ের দুনিয়ায় স্থায়ী জায়গা করে নেন, তা আজও দর্শকদের কাছে দৃষ্টান্ত। এরপর ‘পারোমা’, ‘যুগান্ত’, ‘পারোমিতার এক দিন’, ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’, ‘১৫ পার্ক অ্যাভিনিউ’-র মতো জাতীয় পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র পরিচালনা করে তিনি প্রমাণ করেছেন নিজের বহুমুখী প্রতিভা। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী নারী নির্মাতা হিসেবে তাঁর নাম স্বীকৃত।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অপর্ণা সেন জানিয়েছেন, তাঁর সাফল্যের সবচেয়ে বড় ভিত্তি ছিল পরিবার। তাঁর কথায়—“কখনো কোনও কিছু সাধ্যের বাইরে নয়—এই আত্মবিশ্বাস আমাকে প্রথম দিয়েছে আমার পরিবার।” ছোটবেলা থেকেই পরিবারের উৎসাহ, স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আর কাজ শেখানোর মানসিকতা তাঁকে গড়ে তুলেছে। পরিবার তাঁর মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছিল, সেটাই পরে শিল্পীজীবনে বারবার শক্তি দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ স্টার জলসার ‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’ জুটি কি সিরিয়ালের বাইরে নিজেদের সম্পর্ক বাঁধছেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভস্মিতা–সৌরভের পোস্টে জল্পনার ঝড়, সত্যি কি তবে গোপন প্রেম চলছে পর্দার এই জনপ্রিয় জুটির?

অপর্ণা আরও জানিয়েছেন, জীবনের প্রতিটি কঠিন সিদ্ধান্তে পরিবার তাঁকে ভরসা দিয়েছে, তুমুল প্রতিযোগিতার মধ্যেও সাহস রাখতে শিখিয়েছে। তাঁর মতে, কোনো শিল্পীর সাফল্যে প্রতিভা যেমন জরুরি, তেমনই অপরিহার্য পরিবার থেকে পাওয়া মানসিক দৃঢ়তা। আর সেই দৃঢ়তাই আজও তাঁকে নতুন গল্প বলতে অনুপ্রাণিত করে।

You cannot copy content of this page