একসময়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন সঞ্চালিকা ও সঙ্গীতশিল্পী ‘পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়’ (Paroma Banerjee) সম্প্রতি এক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। হইচই প্ল্যাটফর্মের নতুন ওয়েব সিরিজ ‘ডাইনি’ (Dainee) দেখে সামাজিক মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। শুধু সিরিজের মান নিয়েই আপত্তি তোলেননি, বরং তাঁর ভাষায় এটি ‘যাত্রা টাইপ সামাজিক পালা’ বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর লিপ ফিলিং করানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পরমার এই মন্তব্যের পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন খ্যাতনামা যাত্রাশিল্পী কাকলি চৌধুরী।
কাকলি চৌধুরী সরাসরি পরমার মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন, “ডাইনি তাঁর ভালো লাগেনি, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। কিন্তু যাত্রা নিয়ে তিনি যে শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন, তা অত্যন্ত অপমানজনক। উনি কি আদৌ জানেন যাত্রা কী? আমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রম, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি এমন তাচ্ছিল্য দেখানোর অধিকার তাঁকে কে দিল?” কাকলির মতে, পরমার এই মন্তব্য যাত্রাশিল্প ও যাত্রাশিল্পীদের প্রতি অশ্রদ্ধার পরিচয় বহন করে। নিজের বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাকলি আরও বলেন,
“যাত্রা হল ৬৫০ বছরের পুরনো শিল্প, যেখানে আমরা কেবল অভিনয় করি না, একসঙ্গে নাচ, গান ও সংলাপের মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ রাখি। ঠান্ডা ঘরে বসে উনি আমাদের পরিশ্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? তিন ঘণ্টার একটানা পারফরম্যান্স করতে গেলে যে দক্ষতা লাগে, তা পরমার কল্পনারও বাইরে।” তিনি জানান, পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিই যাত্রার মান বোঝার চেষ্টা করেন, তবে তাঁকে একবার যাত্রার আসরে এসে স্বচক্ষে দেখার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এই বিষয়ে পরমা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে যাত্রা দেখে বড় হয়েছি এবং আমার যাত্রার প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। আমি কখনোই যাত্রাকে ছোট করে কিছু বলতে চাইনি, বরং যাত্রার অভিনয়ের চড়া দাগের শৈলীর সঙ্গে সিরিজটির মিল খুঁজে পেয়েছি বলেই ওই মন্তব্য করেছি।” তবে পরমার বক্তব্যের পরেও কাকলির ক্ষোভ কমেনি। তিনি মনে করেন, ‘যাত্রা টাইপ’ শব্দবন্ধটিই মূলত যাত্রাশিল্পকে অবমূল্যায়ন করে, এবং এই বিষয়টি নিয়েই তাঁর আপত্তি। কাকলি বলেন, “একশো জন্মের তপস্যা করতে হবে
আরও পড়ুনঃ ডেলিভারি বয় থেকে জিতের সঙ্গে দেশ কাঁপানো ওয়েব সিরিজের অভিনেতা! বাংলার ছেলের জিরো থেকে হিরো হওয়ার গল্প অনুপ্রাণিত করবে আপনাকে
পরমাকে যাত্রা দিয়ে লাখো মানুষকে ধরে রাখতে। একবার রামকৃষ্ণ বলেছিলেন মা সরস্বতীর আশীর্বাদ না থাকলে যাত্রাশিল্পী হওয়া যায় না।” এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই দুই দলে বিভক্ত হয়েছেন। একদল মনে করছেন, পরমার মন্তব্যে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে, অন্যদিকে, যাত্রাশিল্পের প্রতি সম্মান রেখেই কথা বলা উচিত ছিল বলে মত দিচ্ছেন অনেকে। বিতর্ক যতই বাড়ুক, একথা স্পষ্ট যে, যাত্রাশিল্পের মর্যাদা রক্ষার জন্য কাকলি চৌধুরী যে কোনও অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে প্রস্তুত।






‘যা পরিস্থিতি মধুবনীকেও বলতে ভয় লাগছে ইউ লুক গুড ইন শাড়ি! ঋজুর বোকামির দায় যেন আমারও!’ সহ অভিনেতা রাজা গোস্বামীর মন্তব্যে বিত’র্ক টলিপাড়ায়