অবাক করার মতো ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে। এক মধ্যবয়সী মহিলা হঠাৎই রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল, আর সেখান থেকেই তৈরি হলো একরাশ প্রশ্ন। রাস্তার ধারে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা সেই মহিলাকে আশ্রয় দেন স্থানীয়রা। কথা বলার চেষ্টা করতেই বোঝা যায়, তাঁর মানসিক অবস্থার ভারসাম্য ঠিক নেই। কথাবার্তায় কোনও স্পষ্টতা নেই, একেক সময় একেক পরিচয় দিচ্ছেন তিনি।
জানা গেছে, ওই মহিলার নাম সুমি হর চৌধুরী। স্থানীয় এক যুবক যখন নাম জিজ্ঞেস করেন, তখন নিজের নাম বলার পাশাপাশি তিনি জানান যে, তিনি একজন পেশাদার অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, তিনি স্টার জলসার ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। কখনও নিজেকে বেহালার বাসিন্দা বলছেন, আবার কখনও জানান যে তিনি বোলপুর থেকে এসেছেন।
এই অস্বাভাবিক অবস্থায় তাঁকে দেখে চমকে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। যুবকেরা পরে ফেসবুকে খোঁজখবর নিয়ে সুমির নামে একটি প্রোফাইল খুঁজে পান, যেখানে তাঁর অভিনয়ের কিছু ক্লিপিংসও দেখতে পান তাঁরা। সেখান থেকেই বোঝা যায়, তিনি আদতেই অভিনয়ের জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু তাঁর বর্তমান অবস্থা দেখে কেউই বোঝে উঠতে পারছেন না, কীভাবে এমন হল?
তিনি কেনই বা খণ্ডঘোষে এসেছেন? এই ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সমাজ মাধ্যমেও এই বিষয়টি ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে। স্থানীয়রাই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যাতে ওই মহিলার যথাযথ চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এই অবস্থায় ওই অভিনেত্রীকে একা না ছেড়ে দিয়ে, বাসিন্দারা স্থানীয় একটি বিশ্রামাগারে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।
আরও পড়ুনঃ পেটে ভাত নেই, হাতে টাকা নেই— অভাবে খাবারও জোটে না বর্ষীয়ান অভিনেতা শঙ্কর ঘোষালের! ছেলে-বৌমার কাছে অচেনা হয়েছেন তিনি! টাকা পাঠিয়ে নিঃসঙ্গ দাদাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, বোন রত্না ঘোষাল!
তবে এই ঘটনা যেন আবারও অভিনয় জগতের অন্ধকার দিক নিয়েই ইঙ্গিত করছে। অভিনয়ের দুনিয়া থেকে হঠাৎই এইভাবে হারিয়ে যাওয়া, তারপর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো—সব মিলিয়ে ঘটনাটি যথেষ্ট করুণ ও ভাবনাচিন্তার বিষয়। এখন দেখার, প্রশাসন বা ইন্ডাস্ট্রির কোনও সহকর্মী এই প্রাক্তন অভিনেত্রীর পাশে এসে দাঁড়ান কিনা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।