সঙ্গীত, অভিনয়, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন, হারিয়েছেন মেয়েকে! বয়সকালে কেমন আছেন হেমন্ত পুত্র জয়ন্ত মুখার্জি?

স্বর্ণযুগের বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ও সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (Hemanta Mukherjee)-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র জয়ন্ত মুখার্জি (Jayanta Mukherjee)। ১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন হেমন্ত ও বেলার বড় ছেলে জয়ন্ত। তার ৭ বছর পর ১৯৫৪ সালে জন্ম নেন কন্যা রানু মুখোপাধ্যায়। হেমন্ত বাবুর পুত্র জয়ন্ত সম্পর্কে জানেন না অনেকেই। বয়সকালে কেমন আছেন তিনি?

হেমন্ত বাবুর দুই সন্তান রানু ও জয়ন্ত দুজনেই গান শিখেছিলেন বাবা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কাছে। জয়ন্ত ছোটবেলা থেকেই ভালবাসতেন অভিনয় করতে। খুব ছোটো বয়সে জয়ন্ত হেমন্ত মুখার্জীর পরিচালনায় ১৯৫৪ সালে ‘ফেরি’ নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি শিশু শিল্পী হিসেবে। এরপর তিনি অভিনয় করেছেন উমাং, বিশ সাল পেহেলে ইত্যাদি দু একটি ছবিতে।

জয়ন্ত মুখার্জি অভিনয় করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি ছবিতে গানও গেয়েছিলেন। তিনি গান গেয়েছেন বিবি অউর মাকান, বিশ সাল পেহেলে ইত্যাদি ছবিতে। তবে খুব বেশি কাজ করেন নি বলে সেই হারে জনপ্রিয়তা তাঁকে ছোঁয়নি। একটা সময় আসে যখন জয়ন্ত ছবির প্রোডিউসার হয়ে যান। ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রযোজনায় মজাক, দো লড়কে দোনো করকে এবং ১৯৯২ এর তলাশ নামের একটি টিভি সিরিজ গড়ে ওঠে।

হেমন্ত পুত্র জয়ন্ত মুখার্জিকে বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী। পরে তাঁদের দুই কন্যাও জন্মায়। যাদের নাম পায়েল এবং মেঘা। অভিনেত্রী মৌসুমী চ্যাটার্জি একদা পারফর্ম করেছিলেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে ‘রিমঝিম ঘিরে সাওয়ান’ গানে। সেই মৌসুমীকে সিনেমার পর্দায় নিয়ে আসেন কিংবদন্তি বাঙালি পরিচালক তরুণ মজুমদার। মৌসুমী চ্যাটার্জি বাংলা ছবি ‘বালিকা বধূ’তে অভিনয় করে দর্শকদের অবাক করে দেন।

আরও পড়ুনঃ লোকেদের যেখানে ছয় মাস প্রেম টেকে না আমাদের ছয় বছর টিকে গেল! “স্বর্ণেন্দুর ভালবাসাটা অন্যরকম…” অকপট শ্রুতি

বড় মেয়ের এই অকাল প্রয়াণে প্রচন্ড মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন জয়ন্ত ও মৌসুমী। পরবর্তীতে ছোট মেয়ে মেঘা অভিনয় জগতে পা রাখলেও তিনি এখনও সেভাবে নাম করতে পারেন নি। একটা সময় ছিল যখন মৌসুমীর সাথে বিভিন্ন ইভেন্টে আসতেন জয়ন্ত বাবু। কিন্তু এখন খুব একটা তাঁকে ক্যামেরার সামনে দেখা যায় না। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিতে চক্ষুর অন্তরালেই থাকেন তিনি।