সেলিব্রিটি হলেও পুজোর দিনে গ্ল্যামারাস নয়! শাড়ি, সিঁদুর, শাঁখা-পলাতে বাড়ির সাবেকি মেয়ে সাজতে ভালোবাসে কোয়েল মল্লিক

তিনি বাংলার টলি কুইন। কত শত সফল সিনেমা রয়েছে তার অভিনয়ের জীবনে। একটা সময় বাংলা সিনেমা দুনিয়ায় বিশেষ করে কমার্শিয়াল ফিল্মে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েছেন তিনি। ‌ প্রত্যেকটা নায়কের সঙ্গেই তার রসায়নে হিট করেছে। তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির এই মুহূর্তের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রতিভাময়ী অভিনেত্রী।

বাবা যেমন দুঁদে অভিনেতা ছিলেন, তেমন‌ই তার যোগ্য উত্তরসূরী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন সবার প্রিয় কোয়েল মল্লিক।‌ ভীষণভাবে ভদ্র, মার্জিত, রুচিবোধ সম্পন্ন মানুষ তিনি। ঐতিহ্য আভিজাত্য তার রক্তে। এতগুলো দিন ইন্ডাস্ট্রিতে বিতর্ক ছাড়াই কাটিয়ে দিলেন তিনি। তার মতো বিনম্র অভিনেত্রী দুটো মেলা ভার।

৪০-এর কোঠায় ঢুকে পড়েছেন অভিনেত্রী! কিন্তু তাঁর বয়স ৪০-এর ঘরে ঢুকলেও আজও তাঁর সৌন্দর্যে ঘাটতি আসেনি। একইসঙ্গে এই বয়সেও চরম ফিট তিনি।‌ ৪০-এ পা দিলেও কোয়েল মল্লিক কিন্তু চেহারায় আজও ১৮ বছরের তন্বী। স্বামী সন্তান সংসারকে সময় দিতে গিয়ে কিছুদিনের জন্য কর্ম বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই বছর পুজোয় আবারও তিনি ফিরছেন, মিতিন মাসি হয়ে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Koel Mallick (@yourkoel)

পুজোয় একদিকে যেমন তার সিনেমা মুক্তি পাবে অন্যদিকে তেমন‌ই অভিনেত্রীর বাড়িতে কিন্তু বিরাট ঘটা করে দুর্গাপুজো হয়। ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো বিখ্যাত। আর সেই বাড়ির মেয়ে কোয়েল। পুজোর এই কটা দিন অভিনেত্রী দেখা মেলে ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতেই। ১৯২৫ সালে ভবানীপুরের মল্লিক বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রারম্ভ হয়। পুজোর চার দিনই এই বাড়িতে নিরামিষ খাওয়া হয়, মায়ের বিসর্জনের পর আমিষ মুখে তোলেন পরিবারের সদস্যরা।

আর পুজোর এই চারটে দিন বাড়ির সবার সঙ্গেই মিলেমিশে কাটিয়ে দেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। পুজোর এই চারটে দিন শুধুমাত্রই নিজেকে সাবেকি সাজে মেলে ধরেন অভিনেত্রী। সম্পূর্ণ সাবেকি সাজে শাঁখা, পলা, সিঁদুরে সুসজ্জিতা হয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। না গ্ল্যামারাস কোন লুক নয় একদম সাধারণ সাজে বাঙালি নারীর মতো থাকেন তিনি।‌ ঐতিহ্যবাহী মল্লিক বাড়ির মেয়ে পুজার এই কটা দিন নিষ্ঠাভরে মাতৃ আরাধনার সমস্ত আচারের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Koel Mallick (@yourkoel)

Back to top button