যে সমস্ত বাঙালি অভিনেতা নিয়মিতভাবে মুম্বাইয়ে কাজ করে চলেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এক মুখ ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। আরব সাগর পারের বাসিন্দা আবার বেড়ে ওঠা গুজরাটে কিন্তু বাংলাকে ভুলতে পারেননি একেবারেই। কাজের টানে বারবার ছুটে আসা টলিউডে।
বাঙালি দর্শক এবার ‘ফেলুদা’ হিসাবে পেতে চলেছে অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে। বাংলা সাহিত্যের আইকনিক গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ, তাই বলা বাহুল্য এই সুযোগ সবার জীবনে বারবার আসে না। শুধু তাই নয় হয়তো এই চরিত্র দিয়েই অভিনয়ের কেরিয়ার পাল্টে যাবে এই অভিনেতার।
এ তো গেল অভিনেতার পেশাগত জীবনের গল্প তবে এটা ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনের এক বিশেষ কারণে আলোচনায় রয়েছেন তিনি। গত বছরই সামনে আসে অভিনেতার ব্যক্তিগত জীবনের সম্পর্কে ভাঙ্গন। ১৩ বছরের বৈবাহিক জীবন অভিনেত্রী বরখা বিশতের সঙ্গে। কাজের সূত্রই আলাপ হয়েছিল দুজনের এবং সেখান থেকেই প্রেম আর বিয়ে। এখন অবশ্য তাদের সংসার জগত সবকিছু তাদের একমাত্র কন্যা মীরাকে ঘিরে। কিন্তু এই দুই অভিনেতা অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনকে ঘিরে উঠেছে জোর চর্চা। কেনো?
শোনা যাচ্ছে এই দম্পতির মাঝে এসেছে এক তৃতীয় ব্যক্তি। আরজে তৃতীয় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এই গল্প তিনি আর কেউ নন টলিউডের অন্যতম প্রথম সারির অভিনেত্রী ইশা সাহা। ফেলুদার শ্যুটিংয়েও নাকি ইশার সঙ্গে নিয়মিত ভিডিয়ো কলে ‘প্রেমালাপ’ চলত ইন্দ্রনীলের, এমনটাই শোনা গেছে কানাঘুষো।
অবশেষে সমস্ত জল্পনা নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা। অভিনেতা বললেন এই গুজব তার কানে এসেছে এবং তিনি বা ইশা কেউই এ নিয়ে মুখ খোলেননি। এদিকে কোন তৃতীয় ব্যক্তি যদি এই ধরনের গুজব ছড়িয়ে দেয় তাহলে তাদেরই বা কী করার আছে? অভিনেতা কিছুটা রাগের সুরে বলেন তিনি তার সঙ্গে চ্যাট করছেন সেটা তিনি ছাড়া আর কারোর জানার কথা নয়। কারোর ব্যক্তিগত জীবনে ঢুকে পড়ার মনোবৃত্তি অন্তত তার মধ্যে নেই।
‘তরুলতার ভূত’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন ইশা-ইন্দ্রনীল। এই ছবির সেটেই নাকি ঘনিষ্ঠতা দুজনের। আর সেখান থেকেই নাকি স্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। ২০০৮-র ১ মার্চ সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন ইন্দ্রনীল-বরখা। যদিও এই দম্পতির মধ্যে কেউই বিচ্ছেদ বা ভাঙ্গন নিয়ে মুখ খোলেননি তবে অভিনেতা স্বীকার করেছেন এখন তারা আলাদা থাকছেন। একমাত্র মেয়ে মীরা দুজনের কাছেই থাকে বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রনীল।