“নাকা ষষ্ঠী পরিবার একটা! মা-বাবাকেও ‘তুইতোকারি’ মেয়েদের!” ‘ন্যাকামির চোটে ঠিক করে গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোয় না’ অনন্যা, অলকানন্দাকে তুমুল কটাক্ষ নেটপাড়ার!

টলিপাড়ার পরিচিত দুই বোন ‘অনন্যা গুহ’ (Ananya Guha)অলোকানন্দা গুহ (Alokananda Guha) —দু’জনেই যেমন অভিনয় করেন, তেমনই সমাজ মাধ্যমে দাপট দেখান ভ্লগিং দিয়ে। কিন্তু সেই দাপট এখন উল্টো দিকে ঘুরে গেছে! ভ্লগ বানিয়ে সবার মন জয় করতে গিয়ে এখন এই দুই বোন ট্রোলের শিকার। আর গোদের উপর বিষফোঁড়া? এরা মা-বাবাকেও ‘তুই’ করে ডাকে! এই নিয়ে দর্শকরা তো একেবারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলেছেন কমেন্ট সেকশনে।

পর্দার বাইরে এঁরা যেভাবে ‘ভাইরাল পরিবার’ সাজেন, তাতে সমাজ মাধ্যমে এখন তাঁদের নাম— “নাকা ষষ্ঠী গুহ পরিবার”! অলোকানন্দা স্বামীর সঙ্গে, আর অনন্যা সদ্য বাগদান করা সুকান্তর সঙ্গে যখন ক্যামেরার সামনে ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’ খেলেন, তখন দর্শক বলেন— “প্লিজ, একটু বড় হয়ে কথা বলো!” “ভ্লগ মানে তো ব্যক্তিগত জীবনের ঝলক, কিন্তু এই দুই ন্যাকাষষ্ঠী বোনের জীবনে যেন একটা পরিণত বাচ্চামির চর্চা চলছে রোজ রোজ” বলছেন অনেকেই।

দর্শকদের প্রধান অভিযোগ— মা-বাবাকে ‘তুই’ বলা এবং অতি শিশুসুলভ আচরণ। দর্শকদের মতে, “ভদ্র ঘরের মেয়ে এরকম করে না। বাড়ির বয়স্কদের ‘তুই’ বলে ডাকে কোন শিক্ষায়?”—একজন তো সরাসরি লিখেছেন, “সংস্কারহীন একদম। যত্তসব অশিক্ষিতের দল!” মন্তব্যে কেউ লিখেছেন, “পুরো পরিবারটাই ন্যাকা ষষ্ঠী!” আবার আরেকজন লিখেছেন, “তোমাদের ভিডিও খারাপ না, কিন্তু অতিরিক্ত ন্যাকামি সহ্য হয় না, পুরো পরিবারটাই ন্যাকা।”

কেউ কেউ তো বলেই দিয়েছেন, “একটু বড়দের মতো করে কথা বললেই বা কী সমস্যা? বাচ্চাদের মতো কথা বললে কে দেখতে চাও?” শুধু তাই নয়, অনেকেই কড়া সুরে জানিয়ে দিয়েছেন— “এভাবে চললে ধীরে ধীরে তোমাদের ভ্লগ কেউ দেখবে না।” এক নেটিজেন স্পষ্টভাবে লিখেছেন, “তোমরা ভাবছো এই কমেন্ট করেও তোমাদের লাভ, তাই না? কিন্তু বলি শোনো— মানুষ আস্তে আস্তে তোমাদের ভিডিও দেখা বন্ধ করে দেবে।”

সবচেয়ে বড় বোমা ফেটেছে অলোকানন্দার সদ্য পোস্ট করা ভ্লগে। বাপের বাড়ি গিয়ে তিনি যে ‘কিউটনেস ওভারলোড’ পরিবেশন করেছেন, তাতে দর্শকরা একপ্রকার দমবন্ধ অবস্থায়! একজনের মন্তব্য, “এই ম্যাড়ম্যাড়ে গলায় কথা বলা, অতি আদর-আদর খেলাটা আর সহ্য হচ্ছে না। প্লিজ কেউ সাবটাইটেল দাও, আমরা বুজতেই পারছি না!” কেউ তো আবার লিখেছেন, “ভ্লগ না ন্যাকামির হ্যান্ডবুক!”

আর একটা বিষয়েও নেটিজেনদের চোখ রাঙানি— ‘ভালোবাসার অতিরিক্ত প্রদর্শন’। একজন মন্তব্য করেছেন, “তোমাদের ভিডিওগুলো ভালোই লাগত, কিন্তু ওভার অ্যাক্টিং আর ন্যাকা গলার স্বর— এসব দেখে আর ভালো লাগে না।” আরেকজন বলেই ফেলেছেন, “একটু ঠিক করে কথা বললেই হয়, এইভাবে বাচ্চাদের মতো কথা বললে কেউ দেখতে চাইবে না।” অন্যদিকে অনন্যার বাগদান নিয়েও কম নাটক হয়নি। দিদির বন্ধু সুকান্তর সঙ্গে সম্পর্কের টুইস্ট নিয়ে অনেকে বলছেন,

আরও পড়ুনঃ ‘দিদি নাম্বার ১’-এর ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার থেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী! —স্টেজের পেছন থেকে পর্দার সামনে, ‘দুই শালিক’ খ্যাত তিতিক্ষা দাসের স্ট্রাগলিং জার্নি মন ছুঁতে বাধ্য!

“পরিবার মানে যেন নাটকের স্ক্রিপ্ট! আজ প্রেম, কাল বাগদান, পরশু ব্রেকআপ?” একজন আবার কটাক্ষ করে লিখেছেন, “এদের লাইফটাই একটা সিরিয়াল হিরোইনরাও লজ্জা পাবে!” সব মিলিয়ে ট্রোলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে অনন্যা-অলোকানন্দার সমাজ মাধ্যমের কমেন্ট সেকশনে। এখন দেখার, এই দুই বোন ভবিষ্যতে ট্রোলকে পাত্তা না দিয়ে ন্যাকামির রাস্তা ঠিক রাখেন, নাকি ভ্লগ কনটেন্টে একটু ‘ম্যাচিউরিটি’ আনেন!