‘দিদি নাম্বার ১’-এর ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার থেকে জনপ্রিয় অভিনেত্রী! —স্টেজের পেছন থেকে পর্দার সামনে, ‘দুই শালিক’ খ্যাত তিতিক্ষা দাসের স্ট্রাগলিং জার্নি মন ছুঁতে বাধ্য!

স্টার জলসার দর্শকদের কাছে বর্তমানে এক জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন ‘তিতিক্ষা দাস’ (Titiksha Das) ওরফে আঁখি। ‘দুই শালিক’ (Dui Shalik) ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছেন। তার সাবলীল অভিনয়, সংলাপ বলার ভঙ্গি আর আবেগঘন মুহূর্তে পর্দায় নিজেকে প্রকাশ করার দক্ষতাই আজ তাকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। তবে এই খ্যাতির পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক কঠোর পরিশ্রম, অনেক অধ্যবসায় যা হয়তো অনেকেরই অজানা।

তিতিক্ষার অভিনয়জীবনের সূচনা হয়েছিল ‘বৌমা অ্যান্ড সন্স’ নামক ধারাবাহিক দিয়ে। যদিও সেই ধারাবাহিকটি খুব বেশি দিন চলেনি, তবে সেটা তার আত্মপ্রকাশের মঞ্চ ছিল। এরপর জি বাংলার ‘ইচ্ছে পুতুল’ (Ichche Putul)-এ ‘মেঘ’ চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের ভালোবাসা আদায় করে নিয়েছিলেন। তার অভিনয়ের গভীরতা এবং চরিত্রে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা তাকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। তবে এত ভালোর মধ্যেও তিতিক্ষার অতীত অনেকেরই অজানা।

megh titiksha das

তবে খুব কম জনই জানেন, এই অভিনয়জগতে আসার আগেই তিতিক্ষা ছিলেন একজন নৃত্যশিল্পী, আবার একজন ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার হিসেবেও কাজ করেছেন টেলিভিশনের পর্দায় দীর্ঘদিন। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ রিয়্যালিটি শো-এর মঞ্চে বহুবার পারফর্ম করেছেন তিনি, কিন্তু তখন তিনি ছিলেন শুধু পেছনের সারির নৃত্যশিল্পী। সেখানেই রচনা ব্যানার্জীর সামনে নাচ করতে করতে মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন, এই মঞ্চে তিনিও একদিন খেলতে আসবেন।

ভাবতেন এই জায়গায় কোনওদিন হয়তো তিনিও অতিথি হয়ে আসবেন। কিছুদিন আগে সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছে তার। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর মঞ্চেই অতিথি হিসেবে হাজির হয়ে নিজের পুরনো দিনের গল্প শেয়ার করেছিলেন তিতিক্ষা। জানিয়েছিলেন কীভাবে রচনা ব্যানার্জীর নাচের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে তিনি ভাবতেন, কবে এই জায়গাটা তার হবে! আজ সেই স্টেজেই তিনি একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ “অভিনেত্রী হতে চাইনি কখনও, মোটা মাইনের চাকরি ছাড়তে হয়েছে!”— অভিনয় নয়, অপরাজিতা ঘোষ দাসের প্রথম ভালোবাসা ছিল অন্য পেশা!

তিতিক্ষার সফল অভিনেত্রী হয়ে ওঠার যাত্রা নিঃসন্দেহে অনুপ্রেরণাদায়ক। তিতিক্ষা দাসের জীবনের এই জার্নি আরও একবার প্রমাণ করে, কোনও স্বপ্নই অসম্ভব নয় যদি থাকে মনের জোর, ইচ্ছে আর কঠোর পরিশ্রম। ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার থেকে ধারাবাহিকের নায়িকা হয়ে ওঠার এই গল্প বাংলার বহু তরুণ-তরুণীর কাছে আজ অনুপ্রেরণার উৎস।