‘ভরতকে টাকার জন্য বিয়ে করেছিলেন’, কটাক্ষের মুখে ভরত পত্নী জয়শ্রী

টেলিভিশন (Television) দুনিয়ার তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কোন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে কার সম্পর্ক, কার সঙ্গে কার বিচ্ছেদ, কে নতুন করে সম্পর্কে জড়াল—এ সবই ভক্তদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও অনেক তারকার প্রেমের গল্প দর্শকদের মনে দাগ কাটে। আবার অনেক সম্পর্ক নিয়ে ওঠে নানা গুঞ্জন, সমালোচনা, কটাক্ষ। তবু সবকিছুকে দূরে সরিয়ে বহু তারকাই নিজেদের সম্পর্ককে মজবুত করে এগিয়ে যান। যেমনটা করলেন ভরত কল ও জয়শ্রী কর।

দশ বছর একসঙ্গে পথ চলার পরও ভরত ও জয়শ্রী তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কে একইরকম খুশি। সংসারে এসেছে মেয়ে আইরা, যাকে ঘিরে তাঁদের জীবন এখন পরিপূর্ণ। জয়শ্রী একজন অভিনেত্রী হলেও এখন কাজের থেকেও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সংসারকেই। অন্যদিকে, ভরত কলও আগের মতো অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু পারিবারিক জীবনকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাঁদের মতে, ভালবাসার সম্পর্ক শুধু আবেগ দিয়ে টেকে না, প্রয়োজন পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান।

ভরত-জয়শ্রীর প্রেমের গল্প শুরু হয় ‘রাজযোটক’ সিরিয়ালের সেট থেকে। অভিনয় করতে করতেই একে অপরের প্রতি অনুভূতি জন্মায়। তারপর সম্পর্ক এগোতে থাকে, এবং অবশেষে ২০১৫ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। তবে এই বিয়ে সহজ ছিল না। কারণ তখন ভরত কল ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। কিন্তু জয়শ্রী কোনও কিছুতেই পিছিয়ে আসেননি। বরং তাঁর পাশে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলে অনেক স্বস্তি, মুখ্যমন্ত্রী আমার গান অভিনয়ে উৎসাহ দেন’, অকপট বাবুল

তবে এই সম্পর্ককে সহজভাবে নেয়নি অনেকেই। বয়সের পার্থক্য ছিল ১৮ বছরের, আর সেই নিয়েই শুরু হয়েছিল কটাক্ষের ঝড়। কেউ বলেছিল, জয়শ্রী শুধুমাত্র টাকার জন্য ভরতকে বিয়ে করেছেন। এমনকি আত্মীয়-স্বজনরাও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। আবার অনেকে ভরতকে স্বার্থপর বলেছিলেন, কারণ তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তাঁদের ভালবাসা এতটাই দৃঢ় ছিল যে, এসব কথার তোয়াক্কা করেননি তাঁরা। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণ করেছেন, তাঁদের সম্পর্ক নিছক সুবিধাবাদের উপর দাঁড়িয়ে নেই, বরং পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ভিত্তিতেই তৈরি।

এত বছর একসঙ্গে থাকার পরেও তাঁদের সম্পর্কে কোনও ফাটল নেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভরত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রেম এবং দায়িত্ব একসঙ্গে চালানো কঠিন। তাঁর কথায়, ‘প্রেম করতে চাইলে বাচ্চা নিও না, আর বাচ্চা নিলে প্রেমটাকে ট্রেনে তুলে দাও, দুটো একসঙ্গে হবে না।’ অর্থাৎ, দায়িত্ব নিলে প্রেমের রঙ বদলায়, তবে সম্পর্কের গভীরতা কমে না। দশ বছর একসঙ্গে থাকার পরও তাঁদের সম্পর্কের উষ্ণতা আজও বজায় রয়েছে। কটাক্ষ, কুৎসা সব পিছনে ফেলে তাঁরা এগিয়ে চলেছেন ভালবাসার রাস্তায়।