বাংলা টেলিভিশন (Television) ও চলচ্চিত্র দুনিয়ায় জনপ্রিয় অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu kamal) তার অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ছোট পর্দায়। একদম প্রথম থেকেই তার অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মন জয় করে। তার পরিচিতি মূলত ২০১৪ সালে, যখন তিনি প্রথম টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করতে শুরু করেন। তবে, তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ হয় ২০২২ সালে, যখন তিনি সত্যজিৎ রায়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘অপরাজিত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এই চরিত্রে তিনি অপরাজিত রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন, যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তার অভিনয়ের ধরণ ও দক্ষতা তাকে বাংলার টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগতের এক পরিচিত মুখে পরিণত করেছে।
সম্প্রতি, জিতু কমল ও শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে শোনা যাচ্ছে একাধিক গুঞ্জন। দুজনকে একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে এবং একে অপরের সাথে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, সম্প্রতি তাদের একসঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার খবর বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। যদিও উভয় তারকা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি, তবে তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। কিছু সূত্র বলছে, তারা ব্যক্তিগতভাবে একে অপরকে পছন্দ করেন, তবে এর সত্যতা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বরে জিতু কমল তার স্ত্রী নবনীতা দাসের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। তাদের সম্পর্কের শেষ ঘটনার পর, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে আলোচনা হয়, তবে উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত জীবনের এই দিক নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাননি। নবনীতা দাস তাদের সম্পর্কের অবনতির ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে তাদের সম্পর্কের মধ্যে আস্থার ঘাটতি ছিল। যদিও এই বিচ্ছেদ খুব সহজ ছিল না, তবুও তারা একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
জিতু কমল এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি এখনও নবনীতার ফোন নম্বর নিজের ফোনে রেখেছেন, তবে বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এই মুহূর্তে তিনি নতুন কোনো সম্পর্কের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন না এবং নিজেকে একা অনুভব করছেন। তার মতে, ব্যক্তিগত জীবনে এমন পরিবর্তনগুলোর পর কিছুটা সময় নেওয়া দরকার। দর্শকরা জানেন, জিতু কমল যে তার ক্যারিয়ারে এতটা সাফল্য অর্জন করেছেন, তাতে তার মানসিক স্থিতি ও দৃঢ়তা প্রমাণিত, তবে এখন তার কাছে নিজের জন্য কিছু সময় দরকার।
আরও পড়ুনঃ অলকা, শ্রেয়া, সুনিধিদের ভাগ্যে একটা পদ্ম সম্মান জুটলো না! কিশোর কুমারের কথা তো বাদই দিলাম! কেন এমন বঞ্চনা? ক্ষোভ প্রকাশ সোনুর!
জিতু কমল তার পেশাগত জীবনে যেমন সফল, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও নানা ওঠানামা দেখেছেন। তার ডিভোর্সের পর, যদিও তিনি একা সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তবুও তিনি তার ক্যারিয়ারে নতুন সম্ভাবনা এবং প্রজেক্ট নিয়ে আগাচ্ছেন। তার অভিনয় দক্ষতা ও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তাকে টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে সফলতার শীর্ষে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতে তার নতুন প্রকল্প ও কাজের অপেক্ষায় তার অনুগামীরা রয়েছেন, যেহেতু তিনি সবসময়ই নিজের অভিনয়ে নতুন কিছু উপহার দিতে প্রস্তুত।