দুই সিনেমার মুখ হয়ে এখন কি নিজেকে বড় কিছু ভাবতে শুরু করেছেন অভিনেতা জিতু কমল? সাম্প্রতিক এক ঘটনার পর এমনটাই প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনরা। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ এর সেটে অভিনেত্রীর সামান্য দেরিকে কেন্দ্র করে এমন আচরণ করলেন জিতু, যাতে চোখ কপালে উঠেছে সহশিল্পী ও ইউনিটের।
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের ফ্লোরে তখন কাজ চলছিল পুরোদমে। দিতিপ্রিয়া রায় তখনও শট দিতে ব্যস্ত। শুট শেষ হতেই শুরু হয় ছবি তোলার প্রস্তুতি—নায়ক-নায়িকা একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে আসবেন। কিন্তু আচমকাই অস্বীকার করে বসেন জিতু কমল! কারও কিছু বোঝার আগেই চুপচাপ উঠে গিয়ে ঢুকে পড়েন সাজঘরে।
সেটের গুঞ্জন বলছে, দেরিতে আসায় নায়িকার উপর বিরক্ত ছিলেন জিতু। কারও জন্য অপেক্ষা করা নাকি তাঁর মোটেই ভালো লাগে না। তাই ছবিতেই থাকতে চাইলেন না। এমনকী ফ্লোরে তখন অন্য কলাকুশলীরা হাসি-ঠাট্টায় ব্যস্ত হলেও, জিতু এক কোণে বসে শুধু ফোনে মুখ গুঁজেই ছিলেন। তাঁর এমন আচরণে অস্বস্তিতে পড়েন দিতিপ্রিয়াও।
ইউনিটের অনেকেই বলছেন, কাজ শেষ হতেই ফ্লোর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন জিতু। শুটিং ছাড়া অন্যদের সঙ্গে মেশেন না, বা সেটের ক্যাজুয়াল পরিবেশে যোগ দেন না বলেই অভিযোগ। কেউ কেউ বলছেন, এই কারণেই হয়তো ব্যক্তিগত জীবনেও সম্পর্ক টেকেনি—নবনীতার সঙ্গে বিচ্ছেদের পেছনেও কি এমন মানসিকতা দায়ী?
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রের কাছে দু’লাখ টাকাই সম্পর্কের দাম! চন্দ্রর টাকায় ঘৃণা উগরে দিল সোহিনী! আদালতে কমলিনীর বিরুদ্ধে কুর্চির প্রাক্তন স্বামীকে দাঁড় করাল চন্দ্র! —’চিরসখা’য় শুরু আইনি মহাযুদ্ধ!
শেষমেশ, নায়িকার একার ছবিই তোলা হয়। ইউনিটের একাংশ তখন ছুটছেন জিতুকে ফেরাতে, কারণ তাঁর পরবর্তী দৃশ্যের শট তখন অপেক্ষায়। তবে তাঁর এমন আচরণে দিতিপ্রিয়ার পাশাপাশি অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে হতাশা। পর্দার পিছনে ‘নায়কোচিত’ ব্যবহার যে বাস্তবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই যেন প্রমাণ করে দিল এই ঘটনা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।