দর্শকের মনে এখনও গেঁথে আছে ছোটপর্দার এক দৃশ্য। চৈতন্য মহাপ্রভুর ভূমিকায় এক তরুণ অভিনেতা মুগ্ধ করেছিলেন সকলকে। সেই ‘মহাপ্রভু’ চরিত্র দিয়েই ২৯ বছর আগে যাত্রা শুরু হয়েছিল যিশু সেনগুপ্তর (Jisshu Sengupta)। এবার আবারও সেই আধ্যাত্মিক আবহে ফিরছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji) পরিচালিত আসন্ন ছবি ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ (Laho Gouranger Naam Re)-তে ‘নিত্যানন্দ’ চরিত্রে দেখা যেতে পারে যিশুকে। প্রায় তিন দশক পরে যেন এক পূর্ণবৃত্ত সম্পূর্ণ হতে চলেছে অভিনেতার কেরিয়ারে।
ইতিমধ্যেই বলিউড এবং দক্ষিণী ছবিতেও জমিয়ে কাজ করছেন যিশু। এখন তিনি রয়েছেন লন্ডনে, নতুন কাজের সূত্রে। সেখান থেকে ফিরলেই ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’-র জন্য তাঁর লুক সেট করা হবে। শোনা যাচ্ছে, ছবির কাস্টিং নিয়েও ছিল দীর্ঘ টালবাহানা। মাঝে মধ্যেই অভিনেতা বদলের খবর সামনে আসত। তবে অবশেষে বেশিরভাগ চরিত্রের চূড়ান্ত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছেন রানা সরকার ও এসভিএফ (SVF)। পরিচালক অবশ্য বাজিমাত করতে ভরসা রেখেছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখদের উপর।
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চৈতন্যদেব -এর চরিত্রে দেখা যাবে দিব্যজ্যোতি দত্ত-কে। এই চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, তা নিয়ে বছর চারেক ধরে নানা জল্পনা চলছিল। শেষমেশ গত দোলপূর্ণিমায় দর্শকদের সঙ্গে ‘মহাপ্রভু’-র পরিচয় করিয়ে দেন পরিচালক। লক্ষ্মীপ্রিয়া চরিত্রে থাকছেন আরাত্রিকা মাইতি, বিষ্ণুপ্রিয়া চরিত্রে অলোকানন্দা গুহ। এছাড়া গিরিশ ঘোষের ভূমিকায় থাকছেন ব্রাত্য বসু এবং বিনোদিনী-র চরিত্রে থাকছেন শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
এটি পুরোপুরি পিরিয়ড ড্রামা নয়। বরং, ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবির চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে তিনটি সময়কাল নিয়ে। নটি বিনোদিনী, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু, গিরীশচন্দ্র ঘোষের মতো ঐতিহাসিক চরিত্রের পাশাপাশি থাকবে বর্তমান সময়ের এক সুপারস্টার ও এক পরিচালকের সম্পর্কের গল্প। এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবার ইশা সাহা-কে দেখা যাবে সৃজিতের পরিচালনায়। তাঁর চরিত্র পরিচালক। অন্যদিকে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত-কে দেখা যাবে সুপারস্টারের চরিত্রে, যার স্ত্রীয়ের ভূমিকায় থাকছেন পার্ণো মিত্র।
আর পড়ুনঃ “স্ক্রিপ্টের মূল্য নেই, রিল নিয়েই ব্যস্ত! কতগুলো ফ্রিতে কাটলাম, এই নিয়েই যত মাথা ব্যাথা” “সিনিয়রদের সামনে নির্লজ্জের মতো সিগারেট খায়” — ইন্ডাস্ট্রির বদলে যাওয়া ছবিতে হতাশ অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়!
শ্রীচৈতন্যের জীবনের বড় অংশ এই ছবিতে উঠে আসবে। সেই সঙ্গে তাঁর অন্তর্ধান রহস্য-ও দেখানো হবে। শুটিংয়ের সিংহভাগ হবে নবদ্বীপে। এছাড়া কলকাতা এবং পুরীতেও কিছু দৃশ্যের শুটিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই ছবির ঘোষণা হয়েছিল, তবে নানা জটিলতায় কাজ স্থগিত ছিল। এবার নতুন বছরে, ডাকসাইটে কাস্টিংয়ের চমক নিয়ে বাংলা সিনেমার এক বড় মাইলস্টোন হয়ে উঠতে চলেছে সৃজিতের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।