মাত্র ১৮ বছর বয়সে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন! কেন বিবাহিত জীবনে আলাদা থাকেন জোজো? স্বামীর উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি গায়িকার

বাংলা গানের দুনিয়ায় অতি পরিচিত এক নাম জোজো। ছোটবেলা থেকেই মঞ্চে তাঁর গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন দর্শকরা। মাত্র ৬ বছর বয়সে তাঁর মঞ্চ জীবন শুরু হলেও আজও তিনি অগণিত ভক্তদের মাঝে জনপ্রিয়। জোজো তাঁর সুরেলা কণ্ঠে বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন, পাশাপাশি নাটকেও করেছেন অভিনয়। তাঁর অসীম প্রতিভা এবং মানুষের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা তাঁকে বাংলা গানের দুনিয়ায় এক অমূল্য রত্নে পরিণত করেছে। ৫০ বছরে পা দিয়েও তাঁর জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি, বরং আরও মজবুত হয়েছে।

কেবল সঙ্গীতেই নয়, মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি এত বছর পরেও দর্শকদের মনে জীবন্ত হয়ে আছে। ৬ বছর বয়সে মঞ্চে গানের সঙ্গে অভিনয়েও হাত মেলান তিনি। দর্শকদের মনে চিরকালীন স্থান করে নেয়া এই গায়িকা তাঁর সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন। ‘সারেগামাপা’র বিচারক হিসেবেও তিনি সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব। বাংলা গানের এই সেলিব্রিটি আজও তাঁর অগণিত ভক্তদের জন্য সুরের পর সুর উপহার দিয়ে চলেছেন।

jojo

২০২৫ সালের ১৭ই জানুয়ারি, বাংলা গানের জনপ্রিয় মুখ জোজো তাঁর ৩১তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামীর সঙ্গে পুরোনো ছবি পোস্ট করে নিজের এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছেন তিনি। স্বামীর নাম কিংশুক মুখোপাধ্যায়, যাঁকে গানের দুনিয়া জানে বাবলু নামে। তবে গানের জগত থেকে অনেকটাই দূরে তিনি এখন প্রকৃতির মাঝে সুরেলা জীবন কাটাচ্ছেন। শহর থেকে অনেক দূরে ডুয়ার্সে রয়েছেন কিংশুক, যেখানে তিনি একেবারে অন্যভাবে জীবন কাটাচ্ছেন।

জোজো তাঁর দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের বিষয়ে জানান, “লং ডিসট্যান্ট বিয়ে টেকে না”—এমন কথা তো সবাই বলে, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তা প্রমাণিত হয়নি। ৩১ বছর পার করতে গিয়ে আমরা একে অপরের প্রতি আরও পরিণত হয়েছি।” তিনি আরো বলেন, “আমরা একেবারে আলাদা দুই মানুষ, কিন্তু একসঙ্গে বড় হয়ে উঠেছি, একসঙ্গে বুড়ো হবো।” জোজো স্বীকার করেন, স্বামীর জন্যই তিনি আজ পরিণত নারী, এবং তাঁর স্বামী কিংশুক তাঁকে নিজের শর্তে জীবন বাঁচার অধিকার দিয়েছেন। এজন্য তিনি তাঁর স্বামীকে ধন্যবাদ জানান।

আরও পড়ুনঃ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় পূর্ণ হল প্রতীক্ষার অবসান! পুনর্মিলন হল সোনা-রূপা-সূর্য-দীপার, চোখে জল ভক্তদের

জোজো ও কিংশুকের এক কন্যা সন্তান বাজো (ভালো নাম মেহকা মুখোপাধ্যায়) এবং ২০১৯ সালে তাঁরা পুত্র সন্তান আদি (আদীপ্ত)কে দত্তক নেন। কর্মসূত্রে মেয়েটি বেঙ্গালুরুতে থাকে, আর স্বামী ডুয়ার্সে থাকেন। যদিও দুজনের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব, তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং বন্ধন দিনে দিনে আরও দৃঢ় হয়েছে। জোজো আরো জানান, তিনি এবং তাঁর স্বামী একসঙ্গে ৫০তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করতে চান। জোজো এবং কিংশুকের সম্পর্কের প্রতি তাঁর বিশ্বাস দৃঢ় এবং তিনি আশা করছেন, তাঁদের জীবন আরও অনেক সুখী ও সমৃদ্ধ হবে। ৩১ বছরের দাম্পত্য জীবন জোজো এবং তাঁর স্বামীর জন্য এক অনবদ্য অভিজ্ঞতা, যেখানে ভগবান তাঁদের একসঙ্গে বাঁচার সুযোগ দিয়েছেন এবং তাঁদের সম্পর্ক দিনে দিনে আরও দৃঢ় হয়েছে।

You cannot copy content of this page