‘আমার বক্তব্যের জন্য লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী!’ সব ঘাটে ধাক্কা খেয়ে এবার জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কাঞ্চন মল্লিকের

রবিবার দিনভর সংবাদের শিরোনামে ছিলেন তৃণমূলের (Trinamool) বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick)। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োবার্তায় ক্ষমাপ্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। দিন দুয়েক তাঁকে ঘিরে চলছিল সমালোচনার ঝড়। দিন শেষে নত মস্তকে নিজের ভুল স্বীকার করলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক।

এদিন অভিনেতা ব্যঙ্গ করে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জানান, মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর আগে বোনাস হাত পেতে নেবেন তো? জুনিয়র চিকিৎসকরা সরকারি বেতন বা বোনাস কিছু পান না জানা ছিল না তৃণমূল বিধায়কের। নিজের অবিবেচিত মন্তব্যে জেরে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন অভিনেতা। বয়কটের হুমকি দেন তাঁর সহ-অভিনেতারাই। তারপরই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান কাঞ্চন।

সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োবার্তায় ক্ষমাপ্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক

এক ভিডিয়োবার্তায় কাঞ্চন বলেন,”গতকাল একটি ধর্নামঞ্চে আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।” তাঁর কথায়, কোনও সাফাই গাওয়ার জন্য তিনি এই ভিডিয়োটি করেননি। বরং তিনি নিজের ভুল অনুভব করতে পেরেছেন। বিধায়ক অভিনেতা আরও বলেন, ”বাড়িতে আমারও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পড়ে। এ ছাড়া, আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দিই।”

এরপরই তিনি দর্শকদের কাছে ধৈর্যচ্যুতির সঙ্গত কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, তাঁর ভাইয়ের সমান এক বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ থেকে মৃতপ্রায় ছিলেন। ওই ব্যক্তি সে দিনও পরিষেবার জন্য কাঞ্চনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের ধর্না থাকায় ওই মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ভেঙে পড়েছিলেন কাঞ্চন।

কাঞ্চন আরও বলেন, ”তার পরেও আমি চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য মন থেকে করতে চাইনি। পরিস্থিতির কারণে সকলে অশান্ত।” জানান, আরজি করে ঘটনা তার উপরও প্রভাব বিস্তার করেছে। তিনিও নির্যাতিতার জন্য আন্তরিক ভাবে ন্যায়বিচার চান। ভিডিয়োর শেষে একজন সাধারণ মানুষের মতোই সকলের থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন।

আরও পড়ুন: জটিল রোগে আক্রান্ত রাই! স্ত্রীর এহেন অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লো অবিশ্বাসী, মেরুদণ্ডহীন অনির্বাণ

প্রসঙ্গত, নাট্য পরিচালক সুজননীল মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই তার নাটকের শো থেকে বাদ দিয়েছে কাঞ্চন মল্লিককে। বন্ধু অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী তাঁকে ‘ত্যাগ’ দিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্যরাও তাঁর অজ্ঞানতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই চাপেই কি অভিনেতার গলায় সহানুভূতির সুর?