“সাধারণ মানুষ মাকে সামনে থেকে দেখতেও পারে না, এরা ভিআইপি তাই ঠাকুরের সঙ্গে যা ইচ্ছা করছে!” “আমরা মাকে এক ঝলক দেখতে লাইন দিয়েও পাই না, কিন্তু পান শুধু অ’পকর্ম করা সন্তানরাই!”— কৃষভির জন্মদিনে কৃষভিকে ঠাকুরের গায়ের সঙ্গে ঠেকিয়ে পুজো দেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী! ভিডিও দেখে তোপ নেটিজেনদের!

গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখ মা-বাবা হয়েছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় জুটি ‘কাঞ্চন মল্লিক’ (Kanchan Mullick) ও ‘শ্রীময়ী চট্টরাজ’ (Sreemoyee Chattoraj)। তাদের কোলজুড়ে এসেছিল ফুটফুটে কন্যাসন্তান কৃষভি (Krishvi)। এক বছর পেরিয়ে গেলেও মেয়েকে ঘিরে যেন এখনও উচ্ছ্বাসের পারদ তুঙ্গে। এবার মেয়ের প্রথম জন্মদিন উপলক্ষে আগের দিনই তার চিকিৎসকের সঙ্গে কেক কেটে শুরু হয় উদযাপন। তবে শুধু এতেই সীমাবদ্ধ থাকেননি তারা— কৃষভিকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার একাধিক মন্দিরে। প্রথমে ইসকন, তারপর কালীঘাটে।

এই বিশেষ দিনে মেয়েকে নিয়ে পুজো দিয়েছেন, ক্যামেরায় ধরা দিয়েছেন পরিবার-সহ। শ্রীময়ী সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন কালীঘাট মন্দিরের সেই বিশেষ মুহূর্তগুলি। তাঁর পরনে সাদা-লাল চুড়িদার। পাশে কাঞ্চন, যিনি রঙ মেলানো পাঞ্জাবিতে সমান উজ্জ্বল। আর ছোট্ট কৃষভি— হলুদ-নীলের রঙের পোশাকে একরাশ হাসি নিয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে শ্রীময়ী লিখেছেন, “কৃষভি মানে অন্ধকার থেকে উৎপন্ন শক্তি। কারণ কালীপুজোর সময়েই ও জন্মেছিল। তাই আজও কালীঘাটের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল”

এমন ভাবপূর্ণ পোস্টে একদিকে যেমন ভালোবাসা উপচে পড়েছে, অন্যদিকে বিতর্কের আগুনও জ্বলে উঠেছে সমাজ মাধ্যমে! কিন্তু এর কারণ কী? শ্রীময়ীর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কৃষভিকে মা কালীর পাশে ধরে রাখতে। পাশাপাশি দুজনের ছবি এবং ভিডিও নিচ্ছেন মা-বাবা, একেবারে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে! অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন সাধারণ মানুষের প্রবেশ যেখানে এত সীমিত, সেখানে তারকা পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে এত কাছে গিয়ে ছবি তুলতে পারছেন?

কেউ লিখেছেন, “দুঃখ একটাই, সাধারণ মানুষ মাকে সামনে থেকে এক ঝলক দেখার জন্য কত কষ্ট করে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তারাও তো মাকে ভালোবাসে, কিন্তু তা পারে না!” আবার আরেকজনের মন্তব্য, “ভাগ্য ভালো মায়ের ভিআইপি সন্তানদের, তাই তারা মাকে কাছে থেকে অনুভব করতে পারে, দর্শন করতে পারে।” অন্যদিকে, অনেকেই আবার সহানুভূতির দৃষ্টিতেও দেখেছেন পুরো ঘটনাটা। তাদের মতে, “এতে বাচ্চাদের কোনও দোষ নেই।

আরও পড়ুনঃ হাসপাতালে ভর্তি একসময়ের প্রাণের মানুষ! ‘ওর পরিবার, ঘনিষ্ঠরা আছেন, সেখানে আমার উপস্থিতি কতটা মানানসই হবে, সেটা নিয়েও ভাবছি!’ প্রাক্তনকে দেখতে যেতে ইতস্তত বোধ করছেন নবনীতা

কিন্তু ছোট থেকে ও শিখছে কীভাবে সুযোগের খারাপ ব্যবহার করা যায়!” আরও অনেকে বলেছেন, “এরা ভিআইপি তাই এরা ঠাকুরের কাছে গিয়ে এসব করতে পারে, আর আমরা ঠাকুরের সামনে একটু দাঁড়িয়ে হাত জোর করে প্রণাম করার সুযোগও পাই না!” সব মিলিয়ে, কৃষভির জন্মদিনের এই বিশেষ মুহূর্ত যেখানে একদিকে ছিল মিষ্টি আবেগে ভরা পারিবারিক স্মৃতি, সেখানে অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যমে তা উসকে দিয়েছে এক নতুন বিতর্ক। ভক্তদের একাংশ মনে করেন, ঠাকুরের কাছে যাওয়ার পথ সবার জন্য সমান হওয়া উচিত— সেটা সেলিব্রিটি হোক বা সাধারণ মানুষ!