টলিপাড়ায় ফের নতুন চর্চার কেন্দ্র উঠে আসলো তিন পরিচিত মুখ— ‘সায়ন্ত মোদক’ (Sayanta Modak) , ‘কিরণ মজুমদার’ (Kiran Mazumder) এবং ‘দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়’ (Debchandrima Singha Roy)। কিছু মাস আগেই প্রকাশ্যে আসে কিরণ ও সায়ন্তর বিচ্ছেদের খবর, যা শুরুতে ব্যক্তিগত থাকলেও ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে। সম্পর্ক ভাঙার দায় একে অপরের কাঁধে চাপিয়ে নানা অভিযোগে মুখর হন দুজনেই। পাল্টাপাল্টি ভিডিয়ো, আক্রমণাত্মক মন্তব্য— সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত উত্তেজনা তৈরি হয় নেটপাড়ায়।
এই টানাপোড়েনের মধ্যে হঠাৎই কিরণের পাশে এসে দাঁড়ান সায়ন্তর প্রাক্তন দেবচন্দ্রিমা। তিনি শুধু মানসিক সাহসই দেননি, কিরণের ফেলে আসা জিনিসপত্রও ফিরিয়ে দেন সায়ন্তর কাছ থেকে। দ্রুত ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় কিরণ ও দেবচন্দ্রিমার মধ্যে। একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, রেস্তোরাঁয় খাওয়া, এমনকি পাহাড়ি সফরের ঝলকও মিলেছে তাঁদের সমাজ মাধ্যমের পাতায়। তাঁদের বন্ধুত্ব যেন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছিল।
তবে কিছুদিন আগেই সেই সম্পর্কেও ছন্দপতন ঘটে আচমকাই। হঠাৎ করেই দেবচন্দ্রিমা আনফলো করেন কিরণকে। শুধু তাই নয়, দুজনের বানানো সব ভিডিয়োও হাওয়া হয়ে যায় ইউটিউব থেকে। এই ঘটনায় গুঞ্জন আরও চড়ে ওঠে— অনেকেই বলেন, কিরণ কি আবার ফিরে গিয়েছেন সায়ন্তর জীবনে? সেই সম্ভাবনার জেরে কি ভেঙেছে কিরণ-দেবচন্দ্রিমার বন্ধুত্ব? উত্তরের দেখা নেই, হাজারো প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে টলিমহলে।
এই জল্পনার মাঝেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কিরণ। এদিন একটি ফোটোশ্যুটের ভিডিয়ো পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, “তাঁরা বলেছে আমি অতীতে ফিরে গিয়েছি, আর ঠিকই বলেছে। যে সম্পর্কে জড়িয়েছি, তার নাম সেলফ-ওয়ার্থ।” এই লাইনই যেন জবাব হয়ে ওঠে সব প্রশ্নের। কিরণ বুঝিয়ে দেন, নিজেকে ফিরে পাওয়াই তাঁর প্রথম অগ্রাধিকার। কারও জীবনে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত নয়, বরং নিজের আত্মমর্যাদার পথেই তিনি ফিরেছেন।
আরও পড়ুনঃ “তাপসের মেয়ে বলেই স্নেহ দেখায়, কিন্তু কাজ পাই না”— সোহিনীর বি’স্ফো’রক স্বীকারোক্তি! টলিউডে ডাক পড়ে না, তবু আত্মসম্মানে অটল তাপস-কন্যা সোহিনী পাল!
এতে ভক্তদের প্রতিক্রিয়াও মিশ্র। কেউ প্রশংসা করছেন কিরণের সাহসিকতার, কেউ আবার সতর্ক করছেন পুরনো ভুল যেন আর না হয়। অনেকে আবার দেবচন্দ্রিমার প্রসঙ্গ তুলে অনুরোধ করেছেন, বন্ধুত্বের টান যেন এভাবে শেষ না হয়। তবে এখনো পর্যন্ত দেবচন্দ্রিমা এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। ফলে পর্দার পেছনের সম্পর্কের গল্প এখনো অনেকটাই ধোঁয়াশায় ঢাকা। তবে অনুরাগীরা কিন্তু ততদিন চুপ করে থাকবে না, যতদিন না মেলে সেই চূড়ান্ত উত্তর।
“আমার হাত দেখে কি মনে হচ্ছে, আমি কি কাপড় কাচার জন্যই জন্মেছি? ডু ইউ থিঙ্ক সো!”— ঐন্দ্রিলার দাম্ভিক মন্তব্যে সমাজ মাধ্যমে তোলপাড়! ‘কেন, কাপড় কাচা কি খারাপ জিনিস? বরং না পারাটাই লজ্জার!’ ‘এত অহংকার ভালো না, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেলে কি হবে জানেন?’— নেটপাড়ার কটাক্ষ!