অঙ্কে পেয়েছিলেন ১৩,সেখান থেকে সাইকোলজিতে মাস্টার্স!তারপর দিনে ২২ঘন্টা শুট করে দুর্গাতে লীড চরিত্রে অভিনয়, অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনের জার্নিটা আপনার চোখে জল এনে দেবে
বাংলা টেলিভিশন দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সন্দীপ্তা সেন। করুণাময়ী রানী রাসমণি তে মা সারদা সাজার পর তাকে আমরা এখনো ছোটপর্দায় দেখতে পাইনি তবে নিজের ওয়েব সিরিজের কাজ তিনি বজায় রেখেছেন। এছাড় াও তিনি ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন এবং নিজের প্রেমিককে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। নিজের প্রেমের কথা স্বীকার করেছেন কিছুদিন আগে।
আর এবার আপনাদের বলবো সন্দীপ্তা সেনের জীবনের অজানা কিছু কাহিনী। আপনারা সকলেই দেখেছেন যে জীবনে প্রথম তিনি পর্দায় এসেছিলেন একদম লীড চরিত্র হয়ে।এসভিএফ প্রযোজিত দুর্গা ধারাবাহিকে তাকে আমরা প্রধান চরিত্রে দেখেছিলাম এবং সেই ধারাবাহিক করে তিনি যে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তা এখনও লোকে ভোলেনি। কিন্তু তার অভিনয় জীবনের যাত্রাটা সহজ ছিল না। তিনি এই ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পর্কে কিছু জানতেনই না।
একটি শো তে এসে তিনি জানিয়েছিলেন, ক্লাস ফাইভে তিনি অঙ্কে 13 পেয়েছিলেন এবং তাকে সিক্সে প্রোমোট করা হয়নি।সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে তিনি পড়াশোনায় মন দেন এবং পরবর্তীকালে রাজাবাজার সাইন্স কলেজ থেকে সাইকোলজিতে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন তিনি। অনেকেই জানেন না যে সন্দীপ্তা সেন কিন্তু পেশায় একজন মনোবিদও বটে। কোভিডের সময় তিনি আবার সাইকোলজিস্ট এর কাজ শুরু করেছিলেন।যারা ভাবছেন যে সন্দীপ্তা সেনকে দেখাবেন তারা স্বচ্ছন্দে তাকে দেখাতে পারেন কারণ তার ফিজ একদম সাধ্যের মধ্যে।
ভাগ্যবশত একদম প্রথমেই লিড চরিত্র পেয়ে গেছিলেন কিন্তু সমস্যাটা তার পরে শুরু হয়। অভিনয়ের জগৎ সম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিল না কিন্তু যখন তিনি এসে দেখেন যে দৈনিক প্রায় ১৮ ঘণ্টা করে শুটিং করতে হচ্ছে তখন তিনি সেটা মানিয়ে নিতে পারেননি শুরুতেই। এমনও দিন গেছে যে টানা পাঁচ দিন তিনি 22 ঘন্টা করে শুটিং করেছেন। সেই সময় অনেক কষ্ট তিনি করেছেন এবং নিজেকে অভিনয়ের জগতে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছেন এবং তারপরে একের পর এক প্রজেক্টে আমরা সন্দীপ্তাকে দেখতে পেয়েছি।
যখন তিনি ফেল করেছিলেন তখন তিনি ভেবেছিলেন যে হয়তো তার বাড়ির লোক তাকে বলবে স্কুল চেঞ্জ করতে। কিন্তু তার বাবা মা জেঠু তাকে ক্লাস ফাইভে আবার এক বছর পড়তে বলেছিলেন যাতে সেখান থেকে সন্দীপ্তা শিক্ষা নেয় এবং এরপর সন্দীপ্তা আর কোনদিনও ফেল করেননি।