একসময় ‘দিদি No.1’কে প্রবল ট্রোলিং, রচনা ব্যানার্জিকেও অপমান, আজ নিজেই সেই মঞ্চে ‘বং গাই’ কিরণ দত্ত!

গত রবিবার ‘দিদি No. 1’এর বিশেষ পর্বে মায়ের সঙ্গে হাজির ছিলেন স্বয়ং কিরণ দত্ত অর্থাৎ বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবার ‘বং গাই ‘।যদিও তাকে ‘দিদি No. 1’ নিয়ে বানানো ভিডিওটি তার মা ডলিদেবীকে দেখানোর ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে, সে জানিয়েছে যে তাকে নাকি সেদিন খেতে দেওয়া হয়নি!

বাঙালি ইউটিউবার হিসাবে তার পরিচিতি ব্যাপক । টলিউড তো বটেই এমনকি বলিউড তারকারাও তার ইউটিউব চ্যানেলকে নিজেদের ফিল্মের প্রোমোশান এর মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেছেন। সেই বিখ্যাত ইউটিউবারের জীবন অর্থাৎ কিরণ দত্ত থেকে ‘দ্য বং গাই’ হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন তাঁর মা।

‘দিদি No. 1’ এর হোস্ট রচনা ব্যানার্জির প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে কিরণ দত্ত এর ‘দ্য বং গাই’ হয়ে ওঠার যাত্রা শুরু হয়ে যায় ক্লাস এইটে পড়ার সময় থেকেই । তখন যদিও সোশ্যাল মিডিয়া বুঝত না সে, নিজের ভালোলাগা থেকেই ছাদে বসে বন্ধুদের সাথে শুট করত।

কিরণ বরাবরই খুব মেধাবী ছাত্র ছিল, এমনকি সে স্কুলে ফার্স্ট হত। তার বাবা মায়েরও ইচ্ছে ছিল ছেলে মনোযোগ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং-ই করুক । কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়ে সে অঙ্কে ফেল করে যায়। তখন তার মনে হয় এইভাবে হবে না,তাকে কোনো বিকল্প পথ বেছে নিতে হবে । সেই থেকেই তার প্রফেশনালি ভিডিও বানানোর সূচনা।

তখন তার মায়ের সাপোর্ট সে পায়। এমনকি তার ক্যামেরার দায়িত্বও ছিল তার মা’র। যদিও অধিকাংশ ভিডিওতে কিরণের মুখ দেখা যেত না বলে ব্যঙ্গ করেছে সে। এরপর কলেজে থার্ড ইয়ার থেকেই সিরিয়াসলি ভিডিও বানানোর দিকে মন দেয় কিরণ।

হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সে দেখে তার একটা ভিডিওতে দু লাখ মানুষ দেখেছে। তার বাবা মায়ের সংশয় কেটে যায় যখন তাঁরা জানতে পারেন যে এইভাবেও অর্থ উপার্জন করা যায় ।যদিও তখন তার ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। তার মায়ের অ্যাকাউন্টেই ঢোকে তার প্রথম আর্নিংয়ের সাত হাজার টাকা । কিন্তু তখনও কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে তাদের সেই কিরণ আপামর বাঙালির প্রিয় ইউটিউবার ‘দ্য বং গাই’ হয়ে উঠবে, মানুষ তাকে এক নামে চিনবে।

এখন অবশ্য সে বহু মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। সম্প্রতি সে নিজের একটি ফ্ল্যাট কিনেছে এবং তাদের বাড়িটিকেও রেনোভেশন করিয়েছে।এখন তার মা ছেলেকে নিয়ে খুবই গর্বিত।