বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলা ধারাবাহিক নিয়ে বেশ কিছু চর্চা চলছে। চর্চা বলা ভুল, বলা ভালো বেশ কিছু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নারী দিবসের দিন ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু মন্তব্য করেন যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এবার সেই বিতর্কই যেন আরও উস্কে দিলেন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।।
‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছিল মূলত এক মধ্যবয়স্কা মহিলার ফের পড়াশোনা শুরু করার প্রেক্ষাপট নিয়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে মূল বিষয় থেকেই যেন সরে গিয়েছে এই ধারাবাহিক। এখন ধারাবাহিকে ঢুকে পড়েছে প’রকীয়া।
কনীনিকার কথায় দর্শক পর’কীয়াই দেখতে চায় তাই এই ধরণের গল্প আনতে বাধ্য হয়েছেন নির্মাতারা। প’রকীয়া ও ষড়যন্ত্রের ফলে টিআরপি বেড়েছে আর সেই প্রমাণ মিলেছে টিআরপি তালিকায়।
কনীনিকা নারী দিবসের দিন এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেন, “মানুষই ভালো জিনিস দেখে না। যতদিন পড়াশোনা দেখানো হচ্ছিলো টিআরপি কম ছিল। যেই ট্র্যাক ঘুরেছে অমনি টিআরপি বেড়েছে।
চ্যানেলকে তো ব্যবসা করতে হবে, মুনাফা না আহলে চ্যানেল চলবে কিভাবে। শিক্ষিত সিরিয়াল মানুষ দেখে না। দর্শকরা দেখতে চায় বলেই তো দেখানো হয়। কলেজ-পড়াশোনা চাকরি দেখালেই তো পড়ে যায় টিআরপি”।
কিন্তু এমনটা কী সত্যিই ঘটছে?
এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমার লেখা গল্পগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা কোনোদিনই ঘটেনি। এমনটা হয়েছে, অভিনেত্রী ভালো করেননি।
তবে সেজন্য ধারাবাহিকে অন্য অভিনেত্রীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দর্শকের চাহিদা প্রথমেই অভাবে বোঝা যায় না। ‘আয় তবে সহচরী’ সিরিয়ালের মতো অভিজ্ঞতা আমার সত্যিই হয়নি, তাই চ্যানেলের কথাও শুনতে হয়নি”।
তিনি আরও বলেন, “দর্শকের কথা ভেবে কাহিনী পাল্টাতে হয় না। আমি নিজের গল্পের উপর বিশ্বাস রেখেই কাজ করি।
যদিও মনে হয় কোনো অভিনেতা অভিনেত্রী ভালো করছে তাহলে তাঁর উপর নির্ভর করে অনেক সময় গল্প এগিয়ে নিয়েছি। যে কারণে সিরিয়াল হিট হয়েছে। তবে সেটা আমি নিজের সিদ্ধান্তেই করি। দর্শকের ভালো লাগে না বলে ট্র্যাক পাল্টেছি এমনটা কখনই করিনি”। তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে যে কনীনিকার সঙ্গে তিনি একটি ঠাণ্ডা লড়াইতে জড়িয়ে পড়লেন, তা বলাই যায়।