সদ্য মুক্তি পেয়েছে রুক্মিণী মৈত্রের (Rukmini Maitra) নতুন ছবির টিজার। কিছুদিন আগে ছবির শুটিং শেষ করে তিনি জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে একটি। ছবির নাম ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ (Haati Haati Paa Paa)। নামটাতেই যেন এক ধরনের নরম, নিঃশব্দ চলার ছাপ। প্রথম পোস্টারে ছোট-বড় দুই জোড়া পায়ের ছাপ দেখে প্রথমে অনেকেই ভেবেছিলেন এটা হয়তো মা-ছেলের গল্প। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়েছে, এ এক বাবা-মেয়ের সম্পর্কের গল্প, আর এই গল্পের কেন্দ্রে আছেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ও রুক্মিণী মৈত্র।
আর এদিন নিজের চরিত্রের একটি ঝলক সামাজিক মাধ্যমে ভাগ নিলেন রুক্মিণী। ভাগ করে নেওয়া ছবিতে দেখা গেল– কোলে ল্যাপটপ, চোখে চশমা আর ঢোলা ঢালা পোশাকে রুক্মিণী বিরক্তভাবে তাকিয়ে আছে ক্যামেরার দিকে। ক্যাপশনে লেখা, “আমার বাবা কিসব কাণ্ড করে, দেখলেন তো!” ছবির টিজার লঞ্চের পরিপ্রেক্ষিতে করা এই পোস্টে অনেকই অনেক রকম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কিন্তু সবথেকে অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) থেকে।
একদিকে যেখানে তিনি রুক্মিণী বিশেষ মানুষ অভিনেতা দেবকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন কারণে কটাক্ষে মুখর, সেখানে তাঁরই সঙ্গিনীকে প্রশংসা যেন সবার নজর কেড়েছে। তিনি এদিন রুক্মিণীর বিনোদিনী ছবির একটি দৃশ্য এবং রুক্মিণীর সদ্য ভাগ করে নেওয়া ছবি পাশাপাশি রেখে লিখেছেন, “রুক্মিনী মৈত্রর একাধিক সিনেমা দেখেছি। রামকমলের বিনোদিনীতে রুক্মিনীকে দেখে আমি মুগ্ধ। মেধা, সাধনা, যোগ্যতার মিশ্রণ ওই ছবিটি। এবার ওর ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’ ছবির টিজারে লুকটা দেখলাম।
একটা সারল্যভরা ইনোসেন্স ফুটে বেরোচ্ছে। বিনোদিনীকে ভেঙেচুরে নিজের মধ্যে এক নতুন চরিত্রের জন্ম দিচ্ছে রুক্মিনী। বিনোদিনী থেকে যাক চিরস্থায়ীভাবে ওর দর্শনে, চিন্তায়, মননে। আর সামনে নতুন নতুন ছবিতে অভিনয়ে সফল হতে থাকুক রুক্মিনী। শুভেচ্ছা রইল।” তাঁর এই প্রতিক্রিয়া দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়েছে সমাজ মাধ্যমে। অনেকেই বলেছেন, “উপর মহলের চাপে দলীয় সাংসদ দেবকে নিয়ে কটুক্তির জেরে এখন পরোক্ষভাবে ক্ষমা চাইছেন!” এছাড়াও কেউ কেউ বলেছেন, “দেবকে ঠান্ডা করার জন্য এটা লিখলেন। এটাই রাজনীতি।”
আরও পড়ুনঃ সিনেমার পর্দায় ‘কুচুটে শাশুড়ি’ ওরফে গীতা দে’র শেষ জীবন কেটেছে শাড়ি বিক্রি করে! টলিউডে অনবদ্য অভিনয় করা সত্ত্বেও কেন এমন করুন অবস্থা হয়েছিল অভিনেত্রীর?
কেউ এই কথার মধ্যে আবার খুঁজে পেয়েছেন শুভশ্রীকে বলা দেবের কথার পরিপ্রেক্ষিতে খোচার চিহ্ন! একজন বলেছেন, “একটা সারল্যভরা ইনোসেন্স ফুটে বেরোচ্ছে, বলতে কি আপনি শুভশ্রীর ইনোসেন্স হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা টানলেন?” অন্যজনের কথায়, “এটা কি একদিকে দেবকে তুলোধোনা করে অপরদিকে রুক্মিণীকে ভালো বলে ডিভাইড এন্ড রুল পলিসি? ছবিতে সারল্য কোথায় ফুটে বেরচ্ছে সেটা খুঁজে পেলাম না ঠিক!”