প্রবীণ অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী (Lily Chakraborty) একজন কিংবদন্তি, যিনি তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অসংখ্য দর্শকের মন জয় করেছেন। ৮৩ বছর বয়সেও তার অভিনয় বিদ্যা ও উদ্যমের কোনো অভাব নেই। তিনি বাংলাদেশের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং পাঁচের দশকের শেষের দিকে অভিনয় জগতে পা রাখেন। সেই সময় থেকেই তার অভিনয় জীবন শুরু এবং আজও তিনি সমানভাবে সক্রিয় রয়েছেন। তার আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্ব এবং সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন, ইচ্ছে এবং উদ্যম থাকলে বয়স কেবলই একটি সংখ্যা।
লিলি চক্রবর্তী অভিনয় জীবনের শুরুটা করেছিলেন ক্লাবের নাটক দিয়ে। ‘ভানু পেল লটারি’ সিনেমায় মিস মায়া চরিত্রে তার অভিনয় সকলের মন জয় করে। তার ক্যারিয়ারে উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘দেওয়া নেওয়া’, ‘ভোলা ময়রা’, ‘দুই পুরুষ’, এবং ‘দেবদাস’। এছাড়া, তিনি বলিউডেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন ‘চুপকে চুপকে’, ‘আলাপ’, ‘অচানক’, এবং ‘ইনকার’-এর মতো সিনেমায়। এই সব সিনেমায় তার অনবদ্য অভিনয়ের জন্য দর্শকরা তাকে আজও স্মরণ করে।
বর্তমানে ৮৩ বছর বয়সে, লিলি চক্রবর্তী তার অভিনয় জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। সম্প্রতি, তাকে ‘অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা গেছে, যেখানে তার অভিনয় আবারও দর্শকদের মন কেড়ে নিয়েছে। বাংলা এবং বলিউডের পাশাপাশি তিনি নাটক ও টেলিভিশন প্রোগ্রামে আরও একবার প্রমাণ করেছেন যে, তার অভিনয় ক্ষমতার কোনও কমতি নেই। তিনি আজও যে পরিশ্রমী এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অভিনেত্রী, তার প্রমাণ আবারও মিলেছে তার সাম্প্রতিক কাজগুলোতে।
লিলি চক্রবর্তীর বিয়ে হয়েছিল মাত্র ১৯ বছর বয়সে। তার স্বামী ছিলেন ব্যবসায়ী অজিত কুমার ঘোষ, যিনি ডেয়ারি এবং ফার্মেসির ব্যবসা করতেন। তিনি নিজে সিনেমা বানানোর শখ করেছিলেন, তবে সেই শখ পূর্ণ না হলেও তার মাধ্যমে লিলির সাথে পরিচয় হয়। অবশেষে, তারা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। এই বিয়ের গল্পটিও লিলি চক্রবর্তী এক অনুষ্ঠানে শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি জানান, প্রথমে সিনেমা বানানোর ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাকে বিয়ে করে নেন তার স্বামী।
আরও পড়ুনঃ সম্পর্কের টানাপোড়নে এবার বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হল আদৃত ! শুভকে ভালবেসে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে গেল আর আদৃত, পারবে কি শুভ সবাইকে এক করতে?
লিলি চক্রবর্তীর দীর্ঘ অভিনয় জীবন এবং তার সদা উদ্যমী মানসিকতা প্রমাণ করেছে যে, জীবন কোনো বয়সের দিকে তাকিয়ে থেমে থাকে না। তার কাজ এবং অবদান বাংলা ও বলিউড সিনেমায় চিরকাল স্মরণীয় থাকবে। ৬৩ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি অসংখ্য চরিত্রে নিজের অভিনয়ের ছাপ রেখে গেছেন। তার পথচলা আগামী প্রজন্মের জন্য এক প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।