সেলিব্রিটি জীবন যে রকম আলোয় থাকে, ঠিক ততটাই সমালোচনায়ও থাকে। কেউ শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কিছু বললেই সেটাকে জীবনের মাপকাঠি বানিয়ে ফেলা, এটাই কি পরিণত মানসিকতার পরিচয়? মেধা, মার্কশিট আর মাতৃত্ব—এই তিনকে কোথায় যেন গুলিয়ে ফেলেছেন মধুবনী (Madhubani Goswami) । অভিনয়, মাতৃত্ব, এখন আবার মার্কশিট! ফেসবুকে যেভাবে নিজের নম্বরের বিশদ তালিকা দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন, তা দেখে নেটপাড়ার মানুষ একেবারে হেসে কুটিপাটি।
কেউ জিজ্ঞেস করেনি, কেউ দেখতেও চায়নি, তবু মধুবনী নিজের বোর্ড পরীক্ষার নম্বর দেখিয়ে বললেন—”দেখে নাও, আমি অযোগ্য নই!” কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে বলেছে আপনি অযোগ্য? আর যোগ্যতার পরিমাপ কি এখন মার্কশিট করবে? একদিকে বলছেন নম্বর কিছু নয়, অন্যদিকে আবার নম্বর দেখিয়ে বোঝাচ্ছেন আপনি কতটা “সক্ষম”? সত্যিই, এ যেন নিজের পিঠ নিজেই চাপড়ে নেওয়া! মানুষের জীবন যেখানে অভিজ্ঞতা দিয়ে তৈরি হয়, সেখানে একগুচ্ছ নম্বর দিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করাটা কেমন যেন ছেলেমানুষি।
অভিনয় থেকে শুরু করে ভ্লগিং, এমনকি মা হওয়া—সব কিছুর সঙ্গেই নম্বর জুড়ে দেওয়াটা বেশ অভিনব কনসেপ্ট, মনে করছেন অনেকেই। এই পোস্টে মধুবনী বুঝিয়ে দিলেন, “আমি চাইলে সবই পারি, করিনি শুধু!” কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়, কেউ কেউ বলছেন, “এই ‘পারতাম’ রোগটাই আজকাল ইনফ্লুয়েন্সারদের স্বভাবের মতো হয়ে গেছে। দর্শক তো বলে, আপনি যা করছেন ভালোবেসে করুন, কিন্তু সেটা নিয়ে দম্ভে ভরে উঠলে তো বিপদ!”
আর ভক্তদের অনেকেই যেভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট—সবাই নম্বর দিয়ে নয়, মানুষটা কীভাবে ভাবছে, সেটাই বেশি গুরুত্ব দেন। অনেকেই বলছেন,” শো অফ শব্দটা আজকাল যেভাবে নামের পাশে লাগছে, তা মোটেই ভালো দৃষ্টান্ত নয়। শিক্ষিত হওয়া মানেই সব বিষয়ে পরিণত হওয়া নয়, আবার অশিক্ষিত মানেই অযোগ্য হওয়াও নয়। মধুবনী নিজের শিক্ষাগত পরিচয় দিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন, আসলে নিজের দুর্বল দিকটাই প্রকাশ করছেন।”
আরও পড়ুনঃ মোহনাকে নিয়ে দিনে দিনে সন্দেহ বাড়ছে শুভ’র! এদিকে আকাশের কাছে সাহায্য চাইতে গেছে শুভলক্ষী! আগামী দিনে কি হতে চলেছে গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে?
শেষে এসে একটা কথাই বলার, শিক্ষা নিয়ে গর্ব করা ঠিক আছে, কিন্তু সেটা যখন অহংকারের স্তরে চলে যায়, তখন তা হাস্যকর হয়ে ওঠে। অভিনয়, ভ্লগিং বা মা হওয়া—সবই সম্মানের কাজ। কিন্তু সেগুলোর পাশে হঠাৎ করে মার্কশিট নামিয়ে দিয়ে যদি নিজের মূল্য প্রমাণ করতে হয়, তাহলে সেই আত্মবিশ্বাসের অভাবটাই প্রমাণ হয়। মানুষ নম্বর মনে রাখে না, কিন্তু কারো মনোভাব চিরদিন মনে রাখে। আর এই মনোভাব যদি “আমি পারি, করিনি” জাতীয় পোস্টে গাঁথা থাকে, তাহলে হাস্যরস ছড়াবেই!
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।