“আমাদের সবটা জানেন না, তিনটে ফ্ল্যাট আছে আমাদের”— ‘কেশবকে ভ্লগে দেখিয়ে রোজগার আর বড় বড় ডায়লগ?’ কটাক্ষ নেটিজেনদের, পাল্টা জবাবে নেটিজেনদের একহাত নিলেন মধুবনী!

বর্তমানে অনেক টেলিভিশন তারকাই অভিনয়ের পাশাপাশি সমাজ মাধ্যমে ভ্লগিং দিয়ে আয় করছেন। জনপ্রিয় তারকাদের এই তালিকায় রয়েছেন বাঙালি তরকা দম্পতি ‘রাজা গোস্বামী’ (Raja Goswami) এবং ‘মধুবনী গোস্বামী’ও (Madhubani Goswami)। তাঁদের রোজনামচা, ঘরোয়া মুহূর্ত, কিংবা সন্তান কেশবের ছোট্ট ছোট্ট কাজ, সবই ধরা পড়ে তাঁদের ডেইলি ভ্লগে। এই ভ্লগ কনটেন্টগুলির মাধ্যমেই এক বিশাল সংখ্যক অনুগামীর ভালোবাসা ও সমালোচনা, দুই-ই কুড়িয়েছেন তাঁরা।

সম্প্রতি মধুবনীর একটি মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। চাকুরিজীবী মায়েদের প্রসঙ্গে তাঁর “ছোট মন” “কেরিয়ার ত্যাগ করতে হয় মা হতে গেলে”, ইত্যাদি বলা কিছু কথা অনেক নেটিজেনের চোখে লেগেছে। এরপরই সমাজ মাধ্যমের একাংশ দাবি করে, মধুবনী তাঁদের সন্তান কেশবকে নিয়মিত ভ্লগে তুলে ধরে মূলত ‘রোজগারের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহার করছেন। এমন মন্তব্যে রীতিমতো অসন্তুষ্ট অভিনেত্রী, এবং নিজের অবস্থান এক দীর্ঘ পোস্টের মাধ্যমে এদিন স্পষ্ট করেন তিনি।

krisamasa-keshabke-niyre-selfie-tulalen-raja-madhubani-compressed (1)

সরাসরি নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলে মধুবনী লেখেন, তাঁদের জীবনে ভ্লগিং শুরু হওয়ার অনেক আগেই তাঁরা ভবিষ্যতের নিরাপত্তা গড়ে তুলেছেন। ২০১৮ সালে, যখন ভ্লগের অস্তিত্বই ছিল না, তখন অভিনয় থেকে উপার্জিত অর্থে নিজেদের প্রথম ফ্ল্যাট কিনেছিলেন রাজা ও মধুবনী। এরপর আরও তিনটি ফ্ল্যাট কেনা আছে ঈশ্বরের কৃপায়, বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, তাঁরা যা করেছেন সবটাই নাকি অভিনয় ও পরিশ্রমের টাকায়।

তবে মধুবনী এটাও স্পষ্ট করে দেন যে, বর্তমানে তাঁরা অবশ্যই ভ্লগ থেকে আয় করছেন এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাই তাঁদের স্বভাব। এক্ষেত্রে তিনি ‘ফ্লেক্স’ করতে চাননি বলেও জানান, কিন্তু কিছু মানুষের অহেতুক মন্তব্য তাঁকে বাধ্য করেছে সত্য সামনে আনতে। নেটিজেনদের উদ্দেশে মধুবনী বলেন, সবাই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন পুরোপুরি জানেন না, শুধু সেই টুকুই জানেন যতটা তাঁরা দেখাতে চান। তাই অসম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে কাটাছেঁড়া না করাই ভালো।

আরও পড়ুনঃ “আগে শুধু অভিনয় জানলেই হতো, এখন দরকার আরও কিছু, আমি নাকি পারবো না অভিনয় করতে আর, তাই ডাক পাইনা!”— ইন্ডাস্ট্রির নতুন চাহিদায় নিয়ে বি’স্ফো’রক প্রবীণ অভিনেত্রী অলকানন্দা রায়!

শেষে মধুবনী কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, ভিত্তিহীন গসিপ বা মনগড়া গল্প তাঁদের বিরুদ্ধে ছড়ালে, তাঁর কাছে তা ভুল প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, যাঁরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করছেন, তাঁরা যেন নিজেদের কথাবার্তা বন্ধু মহলেই সীমাবদ্ধ রাখেন। সমাজ মাধ্যমের খোলা মঞ্চে এসে ‘আবেগের নামে আক্রমণ’ বরদাস্ত করবেন না ভবিষ্যতে তিনি।

You cannot copy content of this page