“গাঁইয়া লাগে তোমায়!” মধুবনীকে ‘গ্রাম্য’ তকমা! “আমি মাটির কাছাকাছি একজন মানুষ গ্রামবাংলাকে ভালোবেসেই থাকতে চাই”, শাঁখা-পলা থেকে সাজপোশাক নিয়ে নেটিজেনদের কটাক্ষে ক্ষুব্ধ অভিনেত্রীর স্পষ্ট জবাব!

বিনোদন জগতের তারকারা পর্দায় যেভাবে দর্শকদের মন জয় করেন, পর্দার বাইরে তাঁদের সাজপোশাক নিয়েও সাধারণ মানুষের কৌতূহল কখনও কমে না। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের লুক, ফ্যাশন সেন্স, নিজেদের মৌলিক স্টাইল—সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মুহূর্তে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। অনেকে তা অনুসরণ করেন, অনেকে আবার সমালোচনাও করেন। তাই তারকার ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দও আজকাল আলোচনার বড় অংশ হয়ে দাঁড়ায়।

সেই আলোচনার মাঝেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ার নজরে পড়েছেন অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। সম্প্রতি নিজের শাঁখা–পলা পরার অভ্যাস এবং একই রকম সাজ পোশাক নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। আর সেই পোস্ট ঘিরেই নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে মন্তব্যের ঝড়। অনেকে তাঁকে সমালোচনা করে বলেছেন—মোটা শাঁখা পলা পরে নাকি তাঁকে ‘গাঁইয়া’ লাগে। সেই মন্তব্যই আরও তীব্র রূপ নেয় যখন অনেকে জানান, এই ধরনের সাজপোশাক নাকি আজকের দিনে মানায় না অভিনেত্রীর সঙ্গে।

মধুবনী কিন্তু একেবারেই চুপ থাকেননি। প্রথমেই নিজের পরিচয় এবং বিশ্বাস জানিয়ে তিনি লেখেন—২০১৬ সালে বিয়ের সময় থেকেই তিনি মোটা শাঁখা পরেন। পরে দেখেছেন বহু মানুষ তাঁকে দেখে একই ধরণের শাঁখা–পলা পরতে শুরু করেছেন। তাঁর কথায়, শাঁখা–পলা, সিঁদুর—এসব এমন অলংকার, যা ইচ্ছেমতো পরা যায় না। বিয়ে হওয়া এবং স্বামী বেঁচে থাকা, সবকিছুই এর উপরই নির্ভর করে।

আরও পড়ুনঃ দিতিপ্রিয়া অধ্যায়ের ইতি, নতুন ‘অপর্ণা’ এবার ম্যাজিক ফেরাবে! শিরিন কি সামলাতে পারছেন চরিত্রের দায়িত্ব? বিতর্ক-ডামাডোল পেরিয়ে নতুন শুরু, কী বলছেন সুচন্দ্রা ও অভ্রজিৎ?

সমালোচনার উত্তরে মধুবনী আরও পরিষ্কার করে জানিয়েছেন—তিনি এসব পরেন ‘স্টাইল’ করার জন্য নয়, নিজের স্বামীর মঙ্গল কামনায়। পাশাপাশি তিনি এটাও লিখেছেন, তিনি সব ধরনের পোশাকের সাথে শাঁখা–পলা পরতে স্বচ্ছন্দ। এমনকি অভিনেত্রী যখন সোনালি রংয়ের চুল করেছিলেন তার সঙ্গেও এই ঐতিহ্যবাহী সাজ তিনি পুরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বহন করতেন। তাঁর বিশ্বাস—এটা শুধু সাজ নয়, এটা এক ধরনের অনুভূতি।

শেষে অভিনেত্রী জানান, তাঁকে ‘গাঁইয়া’ বলা নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। বরং তিনি গর্বিত যে গ্রামবাংলার সংস্কৃতির প্রতি তাঁর এত গভীর টান আছে। তিনি আরো জানিয়েছেন, বাংলার মাটির কাছাকাছি থাকতেই তিনি এমন সাজ বেছে নেন।