টলিপাড়ায় কী এখন বিচ্ছেদের হাওয়া লেগেছে? প্রেমের মাসে ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে জিতু কমল ও নবনীতা দাসের নাকি বিয়ে ভাঙতে চলেছে। তারা খুব তাড়াতাড়ি আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন। টলিপাড়া সূত্রে খবর, একথা নাকি নিজের মুখেই জানিয়েছেন বড় পর্দার ‘সত্যজিৎ রায়’। আর এই কারণেই তিনি নবনীতার সঙ্গে ফটোশুট করতে চান নি।
অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ছবিতে বিশ্ববিখ্যাত পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন জিতু। তাঁর সেই লুক ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ও এই লুকের জন্য প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেতা।
এর আগে জিতু এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে মনঃসংযোগের কারণে নাকি তিনি আলাদা বাড়িতে থাকছেন। এবার তাদের বিচ্ছেদের বিষয়ে সেই সংবাদমাধ্যমেই জিতু বললেন, “সে কী! আমি আর নবনীতা তো ২৭ মার্চ কাশ্মীর বেড়াতে যাচ্ছি”।
কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন বিচ্ছেদের গুঞ্জন? জিতু ওই সংবাদমাধ্যমে জানান যে তিনি নিজেই সেই সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর ও নবনীতার বিচ্ছেদের কথা শুনছেন। তিনি তা শুনে আকাশ থেকে পড়ার জোগাড়। জিতু সাফ জানান, “এর আগেও এক বার আমাদের বিচ্ছেদের খবর ছড়িয়েছিল। এ বারেও সে রকমই কিছু ঘটেছে। আমি-নবনীতা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। আমাদের পরিবার-পরিজনেরাও। শাশুড়ি মা ইদানীং এ সব শুনে আর কোনও প্রতিক্রিয়াই জানান না”।
কিন্তু টেলিপাড়া যে বলছে যে জিতু ও নবনীতার একটি ধারাবাহিকে একসঙ্গে অভিনয় করারও কথা ছিল, কিন্তু তাদের বিচ্ছেদের কারণ তা বাতিল করে দিয়েছেন দম্পতি। এই বিষয়ে নবনীতা জানান, “এ রকম কিছু তো আমরা জানি না! এমন সুযোগ পেলে কেউ ছাড়ে? তা ছাড়া, ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর শ্যুট এখনও চলছে। সেই কাজ ফেলে আরও একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করা অসম্ভব আমার পক্ষে”।
এদিকে জিতু জানাচ্ছেন যে একটি ধারাবাহিকে তিনি ডাক পেয়েছিলেন বটে, তবে সামনেই অনীক দত্তের ছবির প্রচার রয়েছে। এর আগে ছোটো পর্দায় কাজ করলে ভাবমূর্তিতে প্রভাব পড়তে পারে। তাই এখনই কোনও কাজ হাতে নিচ্ছেন না তিনি। তবে অভিনেতা এও জানান যে যদি নবনীতার বিপরীতে অভিনয়ের অফার আসে, তাহলে প্রয়োজনে অনীক দত্তের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে রাজি করাবেন তিনি।
এই নিয়ে দম্পতি রসিকতা এও বলেন, “আবার বেড়াতে বেরিয়ে যাচ্ছি। কাশ্মীর থেকে ফিরে বরং বিচ্ছেদ, আবার বিয়ের কথা ভাবব”। জিতু জানান তিনি অবশ্য পছন্দসই কাশ্মীরী কন্যা পেলে সেখানেই বিয়ে সেরে ফেলতেও পারেন। হাসতে হাসতে নবনীতা জানিয়েছেন, ‘ডিসটেন্স রিলেশনশিপ’-এ তাঁর ঘোর আপত্তি রয়েছে।