ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার অধ্যায় প্রকাশ্যে আনলেন পায়েল সরকার! অভিনেত্রীকে হেন’স্থার অভিযোগ জনপ্রিয় প্রযোজকের বিরুদ্ধে! ‘সমাজে এখনও মেয়েদের ‘না’ বলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না’ অকপট অভিনেত্রী

টলিউডের রঙিন দুনিয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকে বহু অপ্রিয় সত্য। কাস্টিং কাউচ সেই সত্যেরই সবচেয়ে কদর্য রূপ। এবার সেই অভিজ্ঞতার কথাই সাহসের সঙ্গে সামনে আনলেন অভিনেত্রী পায়েল সরকার। এক পডকাস্টে তিনি জানালেন, কেরিয়ারের শুরুর দিকে এক প্রযোজক তাঁর কাছে সরাসরি যৌন সম্পর্কের দাবি করেছিলেন। ইন্ডাস্ট্রির এই ভয়াবহ দিক নিয়ে তাঁর মন্তব্য ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

স্ট্রেট আপ উইথ শ্রী-র প্রোমোতে দেখা যায়, পায়েল তাঁর কণ্ঠে চাপা যন্ত্রণা নিয়েই বলেন— ইন্ডাস্ট্রিরই একজন প্রযোজক তাঁকে “নির্দিষ্ট কিছু সুবিধা” চাইতে ফোন করেছিলেন। সঞ্চালিকা বিষয়টি পরিষ্কার করতে জানতে চাইলে পায়েল বলেন, সেটি ছিল সরাসরি যৌন সুবিধার দাবি। তিনি সেই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং এরপর থেকেই শুরু হয় অপমান ও মানসিক হয়রানির পর্ব।

অভিনেত্রী দাবি করেন, তাঁর ‘না’ বলার পর ওই প্রযোজক সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে বারবার অপমানজনক পোস্টে টার্গেট করেন। তাঁর ছবিতে লাল দাগ কেটে অশালীন কথা লিখতেন। পায়েলের ভাষায়, “মানুষটা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।” তবু তিনি ভেঙে পড়েননি। নিজের যোগ্যতা ও পরিশ্রমের জোরে তিনি আবারও জায়গা করে নেন এবং একের পর এক হিট ছবিতে অভিনয় করে প্রমাণ করেন কেউ তাঁকে আটকে রাখতে পারে না।

পায়েল আরও বলেন, সমাজে এখনও মেয়েদের ‘না’ বলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। পুরুষেরা তা নিজেদের অপমান মনে করেন। ইন্ডাস্ট্রি হোক বা সমাজ— এই মানসিকতাই মহিলাদের সামনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। পায়েলের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বহু সময় চর্চা হয়েছে। কিন্তু সব বিতর্ক ও কঠিন সময় পেরিয়ে আজ তিনি আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীন এবং নিজের শর্তে জীবন বাঁচাতে অভ্যস্ত।

আরও পড়ুনঃ ‘না, ঠিক চিনি না!’ ‘আপনি ওনার সঙ্গে তুলনার অযোগ্য!’ ‘এত বড় অভিনেত্রী, তবু নামটা চেনেন না নাকি চিনতে চাইছেন না?’ সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনতে না পারা নিয়ে ফের কটা’ক্ষবিদ্ধ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত! বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হতেই, ক্ষোভে ফুঁসছে নেটপাড়া!

নজরবন্দী এবং দ্য অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস ছবিতে তাঁর অভিনয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। নিজের যন্ত্রণার কথা প্রকাশ্যে এনে পায়েল শুধু নিজেরই নয়, বহু নিপীড়িত মহিলার কণ্ঠস্বরকে হয়ে উঠলেন আরও দৃঢ়।