এককালে তাঁকেই বাঙাল ইন্ডাস্ট্রি বলা হতো। যদিও এতে তাঁর বরাবরই বড্ড আপত্তি। কিন্তু সেই যৌবন থেকে আজ অবধি তাঁর চমকে একটুও ভাটা পড়েনি। বরং ৬০ বছর বয়সেও ৩০ কে আরামসে টেক্কা দিতে পারেন তিনি।
আশা করি বুঝেই গিয়েছেন কার কথা হচ্ছে। তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির মিনিট মানুষ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। অ্যাকশন হিরো থেকে কমেডি ট্র্যাজেডি কিংবা কমার্শিয়াল থেকে আর্ট। সব জায়গাতেই তাঁর বিরাজ ছিল।
তবে এর মাঝে কাজের পাশাপাশি চর্চায় থাকতেন ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও। কিছু বছর আগে গায়ে নেপো কিডের তকমাও লাগে। তবে সেইসব বিতর্ককে কোনও পাত্তা দেননি তিনি। নিজের জীবন নিয়ে সবসময়ই খুব শান্ত ও ধীর স্থিরভাবে থেকেছেন।
কিন্তু একসময় নিজেকে ঘর বন্দী করে ফেলেছিলেন প্রসেনজিৎ। তাঁর প্রথম ভালোবাসার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়। কারোরই অজানা নেই, তৎকালীন দাপুটে অভিনেত্রী দেবশ্রী ছিলেন তাঁর প্রথম প্রেম। বহু বছরের সম্পর্ক গড়িয়েছিল বিয়ের পিঁড়ি অবধি।
কিন্তু বিয়ের পর টেকেনি সেই সম্পর্ক। তিন বছর পরে ভেঙে যায় বিয়ে। আর তখনই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। তাঁর মনে হয়েছিল, সবাই এখন জানে তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা নেই। এদিকে তিনি সবসময নিজেকেই দোষ দেন। সব মিলিয়ে মিশিয়ে কারোর সামনে আসতেই প্রস্তুত ছিলেন না।
তবে অবশ্যই থেমে থাকেননি। তারপর তিনি আরও দুটি বিয়ে করেন। শেষ বিয়েটিই তাঁর বর্তমান। তিনি অভিনেত্রী অর্পিতা। তবে এখন এই বিষয়ে বেশ খোলামেলা তিনি। তাঁর আফসোস, আর পাঁচ বছর পর একটু পরিণত বয়সে বিয়ে করলে হয়তো সব সামলে ফেলতে পারতেন। কিন্তু এখন তাঁর কাছে বিষয়গুলো অনেকটা ঘোলাটে। এখন তিনি তাঁর প্রথম প্রেমের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িতে দিতেও দ্বিধাবোধ করবেন না।