‘আমি রূপঙ্করকে কাজ দেবো,ওর কথাতে কেকে মারা যায়নি’, রূপঙ্করের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করলেন প্রযোজক রানা সরকার! ‘রতনে রতন চেনে’, কটাক্ষের বন্যা নেটপাড়ায়

গায়ক রূপঙ্কর বাগচী প্রবল সমস্যার মধ্যে রয়েছেন এখন। কেকের মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগে করা তার বিদ্বেষপূর্ণ ভিডিও জনগণ দেখে ক্ষেপে উঠেছিল।তখন থেকেই তার বিরুদ্ধে কটাক্ষ শুরু হয়েছিল তবে কেকের অকাল মৃত্যুর পর সেই কটাক্ষ যেন ঘেন্নার রূপ ধরে আছড়ে পড়ে রূপংকরের ওপর। তুমুল অপমানের শিকার হন রূপঙ্কর বাগচী এমনকি তার কাজ চলে যেতে শুরু করে। নব্বইয়ের দশকের ছেলেমেয়েরা কেকে’র এহেন অপমান কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। বাংলা গানের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কেকে’কে ছোট করা, এই জিনিসটার সমর্থন করেননি সকল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।

ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি যে রূপঙ্কর কে বয়কট করতে চলেছে বেশ অনেক ক’টা সংস্থা এবং জানা গেছে যে একটি ছবির কাজ থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি তবে কলকাতায় একজন রয়েছে যার জন্য রুপঙ্করের ভবিষ্যৎ একেবারে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল না।তিনি হলেন প্রযোজক রানা সরকার যিনি প্রযোজনার থেকে বেশি চর্চায় থাকেন তার বিতর্কিত সব ফেসবুক পোস্ট এবং লাইভের জন্য।

ধারাবাহিকভাবে তিনি বিতর্কিত পোস্ট করে থাকেন। অভিষেক চ্যাটার্জীর মৃত্যুর তার মৃত্যুর জন্য পরোক্ষে তিনি দায়ী করেছিলেন প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণাকে। সেই নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি তবে তারপরে ভয়ে তিনি পোস্টটি প্রাইভেট করে দেন। কিছুদিন আগে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন চীনেবাদাম থেকে যশ সরে যাওয়ায়। আরে এবার তিনি পাশে দাঁড়ালেন রূপংকরের।

তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে লেখেন, “রূপঙ্করকে বয়কট করছি না। আমি হিন্দি গান ভালোবাসি, বাংলা গান আরো বেশি ভালোবাসি, আমি অন্য বাংলা গানের পাশাপাশি রূপঙ্করদার গানও ভালোবাসি, মনে করি রূপঙ্কর বাংলা সংগীত জগতের এক সম্পদ; তাই রূপঙ্করদা-কে দিয়ে আমাদের পরের ছবিতে একটা গান গাওয়াবো যদি উনি গাইতে চান…।”

যদিও রানা সরকার কে ঘিরে কটাক্ষ শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সকলেই একটা কমেন্ট লিখছেন যে রতনে রতন চেনে। দুজনেই ফেসবুকে লাইভ করে ঝামেলা বাঁধাতে ওস্তাদ‌।তাই দু’জনে যদি যুগলবন্দি বাঁধে সেটা তো হিট হবেই।

You cannot copy content of this page