আমাকে লোকে ‘পর্নস্টার’ বলে, কুছ পরোয়া নেহি! ‘গান্ডু’র মতো চরিত্র পেলে আবার‌ও করব! ঠাকুরপুকুরে লোক পি’ষেও নির্লজ্জ মন্তব্য ঋ’র! কটাক্ষ করছে নেটপাড়া

সিনেমাপ্রেমীদের কাছে সিনেমা বড়ই আবেগের জায়গা। একদিন এই আবেগ ধরে রাখার দায়িত্ব নেন – সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে ঋতুপর্ণ ঘোষ, কিন্তু সেই আবেগে হঠাৎ যদি ‘গা’ন্ডু’ (Gandu) র মতন ছবি ঝড় হয়ে আসে? তাহলে তো চোখ কপালে উঠবেই! আর এই ঝড় তোলা অভিনেত্রী হলেন ‘ঋ সেন’ (Rii Sen)। গা’ন্ডু, কসমেটিক্স শে’ক্স, বি’ষ এর মতন সাহসী ছবি করে কিছু সিনেমা বোঝেন এমন ভক্তদের কাছে যেমন প্রশংসিত হয়েছেন তেমনি বেশিরভাগ মানুষের কাছেই কুপ্রশংসিত হয়েছেন।

অনবরত কটাক্ষের মাঝেও মাথা উঁচু রেখে নিজের ছন্দে চলা এক ব্যতিক্রমী নাম তিনি। তার চরিত্র তুলে কটাক্ষ ও নিন্দা পর্যন্ত করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর তকমা “নির্লজ্জ”, কারণ এতোকিছুর পরেও তিনি এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে দিব্যি হেসে বলেন, “আমি বলিনি তো আপনাদের গা’ন্ডু দেখতে!” কি আছে এই ছবিতে যাকে নিয়ে ‘ঋ সেন’এর এত আত্মবিশ্বাস? ‘গা’ন্ডু’ (২০১০) একরকম বাংলা আন্ডারগ্রাউন্ড সিনে রেনেসাঁ, যেখানে ঋ সেন তার সাহসী উপস্থিতি দিয়ে তোলপাড় করে দেন।

সিনেমার পুরো ধাঁচ, ভাষা, নগ্নতা আর কাঁচা কাঁচা বাস্তবতা — সব মিলিয়ে এটি ছিল মূলত তথাকথিত ‘সভ্য’ দর্শকদের দৃষ্টিতে বাঙালি সংস্কৃতির ওপর একটা ফোঁড়!আর ঋ সেন? তিনি ছিলেন সেই কারণ! “দশ বছর পার হয়ে গেলেও মানুষের মনে ‘গা’ন্ডু’র সেই উ’ল’ঙ্গ বিতর্ক এখনও উস্কানি দেয়।”— বলেন ঋ সেন। অভিনেত্রী বলেন, “অথচ মজার ব্যাপার হলো, যাঁরা আমায় ‘প’র্নস্টা’র’ বলে ট্রোল করেন, তারাই রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে ‘গা’ন্ডু’ দেখেন!” সমাজের এই দ্বিচারিতা নিয়ে ঋ সেন আজও নির্লজ্জ স্পষ্টবাদী। তিনি বলেন গা’ন্ডু’র মতন সিনেমা আর হয়না, যদি হয় তবে আবার অভিনয় করতে চাই।

তিনি বলেন, “লোকে মুখে এক বলে গুগলের সার্চ হিস্টোরি এক অন্যরকম গল্প বলে।” সম্প্রতি ভিডিও বৌমা ধারাবাহিকে যোগ দিয়ে ঋ ভেবেছিলেন একটু ‘ঘরোয়া’ ইমেজ বানাবেন। কিন্তু হায় রে কপাল, বিধিবাম! দুর্ভাগ্যবশত সেই ধারাবাহিকের প্রযোজক চলতি মাসে শুরুর দিকেই ঠকুরপুকুরে গাড়ি হিট অ্যান্ড রান কেসে ফেঁসে যান। সেই দিন মদ্যপ অবস্থায় প্রযোজক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চ্যানেলের কার্যনির্বাহী কর্তা এবং অভিনেত্রী ঋ সেন, যদিও ঘটনাটির পর ঘটনাস্থলে ঋ ছিলেন না তবুও নাম ওঠায় ধারাবাহিকটি থেকে বাদ পড়ে যান তিনি।

আরও পড়ুনঃ হল ফাঁকা? এক ডাকে ফাঁকা হলে দর্শক ভরাতেন তিনি! সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ছিলেন মঞ্চের লক্ষ্মী! বাংলা বিনোদনের অজানা গল্প শোনালেন ধীমান চক্রবর্তী!

কারুর গেস্ট হিসেবে গাড়িতে থাকা মানেই দোষী নয়, কিন্তু যেখানেই ঋ সেন, সেখানেই যেন কেলেঙ্কারি! সত্যি বলতে ঋ সেন নিজেই যেন একটা ‘মুভিং স্ক্যা’ন্ডা’ল’ — কখনো সাহসের জন্য, কখনো উপস্থিতির জন্য, আর কখনো নিছকই ‘গা’ন্ডু’র মতন ছবি ঘিরে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের জন্য। টলিউডে যারা কড়া রঙের চশমায় সবকিছু দেখেন, তাঁদের কাছে ঋ যেন এক অস্বস্তিকর নাম, আর ঋ সেন? তিনি দিব্যি মুচকি হেসে বলে যান, “গা’ন্ডু দেখলে যদি সমস্যা হয়, সেটা আমার না আপনাদের!”